ফাইল চিত্র।
সংসদ হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল বিশেষ আদালত। প্রমাণের অভাবে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে মুক্তি দেয়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ‘বিতর্কিত’ শিক্ষক সৈয়দ আবদুল রহমান গিলানি (৫৫) মারা গেলেন। তাঁর পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে আচমকাই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় গিলানির। কাশ্মীরের বাসিন্দা গিলানি জাকির হুসেন কলেজে আরবি ভাষা পড়াতেন। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদে জঙ্গি হামলার পরে তাঁকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। ওই হামলার পিছনে তিনি ‘অন্যতম ষড়যন্ত্রী’ বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়। বিশেষ আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ডও দেয়। পরে প্রমাণের অভাবে তাঁকে মুক্তি দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। সেই রায় বহাল রাখলেও সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আচরণ নিয়ে ‘সন্দেহ’ প্রকাশ করে। শীর্ষ আদালতের এমন পর্যবেক্ষণের বিরোধিতা করে আবেদনও জানান গিলানির আইনজীবী রাম জেঠমলানী। যদিও তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। সংসদ হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী আফজল গুরু-র মৃত্যুদণ্ডের তিন বছর পরে ওই ঘটনার নিন্দা করে ২০১৬-য় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় গিলানির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা রুজু করা হয়।