পাপ্পু যাদব
আরজেডির মাধেপুরার সাংসদ পাপ্পু যাদবকে দল থেকে ছ’বছরের জন্য বহিস্কার করা হল। আগেই এই সাংসদকে দল থেকে শো কজ নোটিশ ধরানো হয়েছিল। দল যখন এই সিদ্ধান্ত নেয়, তখন দলের প্রধান লালু প্রসাদ যাদব দিল্লিতে জনতা পরিবারের সংযুক্তিকরণের বৈঠকে। আজ এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দলের জাতীয় মুখপাত্র রামদেও ভাণ্ডারি বলেন, “দল বিরোধী কাজের জন্য পাপ্পু যাদব ওরফে রাজীব রঞ্জনকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।”
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে মাধেপুরা থেকে আরজেডি প্রার্থী পাপ্পু জেডিইউ জাতীয় সভাপতি শরদ যাদবকে হারিয়ে সাংসদ হন। লালুর আস্থাভাজন এই নেতা সিপিএম বিধায়ক অজিত সরকারের খুনের ঘটনায় জেল খাটেন। পরে তিনি পটনা হাইকোর্টের রায়ে সমস্ত অভিযোগ থেকে রেহাই পান। পাপ্পু সাংসদ হওয়ার পর ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু লালু প্রসাদের সক্রিয় সহায়তায় নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে জিতনরাম মাঁঝিকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই মাধেপুরার এই সাংসদ অবস্থান পরিবর্তন করেন। তিনি প্রকাশ্যেই জিতনরামের পক্ষে সওয়াল করতে থাকেন। ইতিমধ্যে লালু-নীতীশের মিলে যাওয়ার পর্বেরও সূচনা হয়। ফলে জনতা পরিবারের সংযুক্তি নিয়েও তিনি প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়েছিলেন।
এরপর পাপ্পু দলের প্রধান লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতে থাকেন। তিনি আরজেডির পরবর্তী দলীয় প্রধান হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেন, “লালু প্রসাদের পরবর্তী উত্তরাধিকারী আমি।” এই প্রশ্নে লালু প্রসাদকে সেদিন পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলতে হয়েছিল, “উত্তরাধিকার হয় ছেলে।”
লালু প্রসাদের এই বিবৃতির পরেও কিন্তু পাপ্পু বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, “সম্পত্তির উত্তরাধিকার ছেলে হতে পারে। কিন্তু দলের উত্তরাধিকার বা নেতাকে গণতন্ত্রে জনসাধারণ নির্বাচিত করে।” এরপর লালু প্রসাদ আর অপেক্ষা করেননি।