ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রে নাম জড়াল করিমগঞ্জের বিনোদিনী গ্রাম পঞ্চায়েতের সভানেত্রীর। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে সভানেত্রী মনোয়ারা বেগমকে।
অভিযোগ, পঞ্চায়েত সভাপতি মনোয়ারা বেগম বাংলাদেশের নাগরিক আফতাবউদ্দিন-সহ সে দেশের কয়েক জনকে করিমগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে চিহ্নিত করে পরিচয়পত্র তৈরি করে দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি কালীগঞ্জে শাজাহান নামের এক যুবকের বাড়ি থেকে ৪ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে পাকড়াও করেছিল পুলিশ। জাল পাসপোর্ট চক্রের হদিসও তখন মেলে। ওই ঘটনার তদন্তেই আজ বিনোদিনী পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কাদাইরগুল এলাকার স্কুলশিক্ষক বিলাল আহমেদ খান চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ রঞ্জন কর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের নাগরিক নিজাম ওরফে কামালউদ্দিন এ ভাবেই ভারতের পাসপোর্ট দোগাড় করে সৌদি আরবে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে নিয়মিত সে বাংলাদেশি নাগরিকদের ছবি পাঠাত করিমগঞ্জের কাদাইরগুলের বাসিন্দা বিলালের কাছে। বিলাল জেরায় জানিয়েছে, ছবিগুলি আসত হোয়াটস্অ্যাপে। বিলাল ও শাজাহান এ দেশে আসা সীমান্তপারের লোকেদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করত।
পুলিশ জানায়, বিলালের ভাইয়ের স্ত্রী ওই পঞ্চায়তের বিএলও। ওই মহিলাকে দিয়ে সে সব বাংলাদেশিদের পরিচয়পত্রে প্রথমে স্বাক্ষর করানো হতো। পরে পঞ্চায়েতের সভাপতি মনোয়ারা বেগমের স্বামী হিফজুর বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা সংক্রান্ত কাগজপত্র তৈরি করে দিত। সব শেষে তাতে স্বাক্ষর করতেন মনোয়ারা বেগম। বাংলাদেশিদের ভারতের বাসিন্দার প্রমাণপত্র দেওয়ার অভিযোগে মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের জেরায় বিলাল জানিয়েছে, সে বাংলাদেশের নাগরিক আফতাবউদ্দিনের পাসপোর্ট ডাককর্মীর কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল। করিমগঞ্জে গ্রেফতার হওয়া ৪ বাংলাদেশির কাছ থেকে আফতাব উদ্দিনের পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা, আফতাবউদ্দিন সৌদি আরবে যাওয়ার ছক কষেছিল। সে নিজে ভারতে না এসে বাংলাদেশের জকিগঞ্জ এলাকার সুমন আহমেদ, সাবির আহমেদ, বিলাল হুসেন, শহিদ আহমেদের কাছে নিজের পাসপোর্ট পাঠিয়েছিল। আফতাব ভারতের ভোটার তালিকাতেও তার নাম তুলেছিল।