—ফাইল চিত্র।
দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি পাক সরকারের আচরণ নিয়ে বহু দিন ধরেই সরব ভারত। এ বার লাহৌরে একটি গুরুদ্বারকে মসজিদে রূপান্তরিত করার তীব্র প্রতিবাদ জানাল তারা। সোমবার এ নিয়ে দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, ‘‘লাহৌরের নওলাখা বাজারে ভাই তারু সিংহজি যেখানে শহিদ হন, সেখানেই গুরুদ্বার শহিদি আস্থান রয়েছে। অথচ ওই জায়গাটি মসজিদ শহিদ গঞ্জের বলে দাবি করছে পাকিস্তান। সেটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করার চেষ্টা চলছে। এর বিরুদ্ধে পাক হাইকমিশনে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা।’’
গোটা ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহও। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘লাহৌরের পবিত্র শ্রী শহিদি আস্থান, যা কিনা ভাই তারু সিংহজির শহিদস্থল, সেই গুরুদ্বারকে মসজিদে রূপান্তর করার যে চেষ্টা চলছে, তার তীব্র নিন্দা করছি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে অনুরোধ, সেখানে অবস্থিত সমস্ত শিখ ধর্মস্থানগুলি যাতে নিরাপদ থাকে, তা নিয়ে পঞ্জাবের হয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেওয়া হোক।’’
অমরেন্দ্র সিংহের টুইট।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৭৭০৩ জন, মোট সুস্থ সাড়ে ন’লাখ
লাহৌরের যে জায়গায় গুরুদ্বার শহিদি আস্থান রয়েছে, ১৭৪৫ সালে সেখানে মুঘল শাসকদের হাতে শহিদ হন ভাই তারু সিংহ। দীর্ঘ দিন জেলবন্দি করে রেখে নৃশংস অত্যাচার চালানোর পর, তাঁকে ইসলাম গ্রহণ করতে বলেন পঞ্জাবের তৎকালীন শাসক জাকারিয়া খান। তাতে রাজি না হওয়ায় চুল সমেত তাঁর মাথার খুলির উপরের অংশ তুলে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাজ্যে কোভিড নমুনা পরীক্ষার সংজ্ঞা-সংখ্যায় বদল আনবে ‘কোবাস ৮৮০০’
বেশ কিছু দিন চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয় তাঁর। নওলাখা বাজারের যে জায়গায় চুল সমেত ভাই তারু সিংহের মাথার খুলির উপরিভাগ তুলে নেওয়া হয়েছিল, সেখানেই পরবর্তীকালে গুরুদ্বার শহিদি আস্থান নির্মিত হয়। যদিও পাকিস্তানের দাবি, গুরুদ্বার নির্মিত হওয়ার আগে সেখানে একটি মসজিদ ছিল।