সীমান্তে সংঘর্ষ-বিরতি লঙ্ঘন তো চলছেই। এর মধ্যেই কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ফের মুখ খুলল পাকিস্তান। প্রায় হুঁশিয়ারি দেওয়ার মতো করেই পাক প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় নিরাপত্তা ও বিদেশ নীতির উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতকে নিজেদের মতো কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে দেবে না ইসলামাবাদ।
গত কাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সরতাজ। সেখানে তিনি আরও বলেছেন, “নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত যে ভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে দূতও পাঠাবে পাকিস্তান সরকার।” অর্থাৎ কাশ্মীর সমস্যাকে আরও এক বার আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করল পাকিস্তান। এর আগেও বহু বার ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন সরতাজ। এ দিন বিতর্কের মাত্রা আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত মাসেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সেখানে ভারত-পাক বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক বাতিল হওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কথা হোক, এটা যে তারা চায় না, তা বারবার স্পষ্ট করেছে নয়াদিল্লি।
কিন্তু কাল সরতাজ আজিজ সেই আন্তর্জাতিক স্তরে বিষয়টিকে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন তুলে আরও এক বার একহাত নিয়েছেন ভারতকে। বলেছেন, “ভারত নিজেদের মতো কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করে নিতে চায়। কিন্তু পাকিস্তান কখনওই তা হতে দেবে না।” সরতাজের আরও বক্তব্য, পাকিস্তান শান্তি চায়। কিন্তু সেটাকে যদি কেউ পাকিস্তানের দুর্বলতা ভাবে, তা হলে ভুল হবে। অর্থাৎ পরোক্ষে ভারতকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গেই সরতাজ অভিযোগ করেছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ভারত। তাঁর কথায়, “রাষ্ট্রপুঞ্জের সেনা পর্যবেক্ষক মিশন যাতে আরও সক্রিয় হয়, আন্তর্জাতিক স্তরে তার চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।”
সীমান্তে যে ভাবে গোলাগুলি চলছে, তা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের আক্রমণে পাকিস্তানের যে সমস্ত গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই ঘুরে এসেছে।