‘আমরা আগ্রাসন বরদাস্ত করব না’, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ভারতের মন্তব্যে বিবৃতি ইসলামাবাদের

ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেও,গত দেড় মাস পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত-বিরোধী প্রচার চালানোর চেষ্টা করে চলেছেন। যদিও সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি কোনও ভাবেই। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের পার্শ্ববৈঠকে সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪:১৪
Share:

পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের বাকযুদ্ধ চলছেই। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই। নয়াদিল্লিতে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকেবিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের এই বিবৃতিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে আক্রমণ শানাল ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের দাবি, এই ধরনের বিবৃতি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আরও বেশি করে উত্তেজনা তৈরি করবে।

Advertisement

মঙ্গলবার জয়শঙ্কর ঠিক কী বলেছিলেন? বুধবার বিকেলে রাজধানীতে জয়শঙ্কর সাংবাদিক বৈঠকে একটি প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘‘আমরা খুব পরিষ্কার ভাবে বলছি, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরও ভারতের অংশ। আমরা আশা করি, এক দিন তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে।’’ শুধু জয়শঙ্করই নয়, সরকারি ভাবেই ভারতের তরফে বারবার এই মর্মেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও ইতিপূর্বে বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই।

ভারতের এই অনড় মনোভাবই পাকিস্তানের মাথাব্যথা। ইসলামাবাদের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতের এই আগ্রাসী মনোভাবকে আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। এই ধরনের বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন। ভারতের প্রতিক্রিয়া দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি করে উত্তেজনা তৈরি করবে।আমরা শান্তির বাতাবরণেই বিশ্বাসী, কিন্তু কোনও রকম আগ্রাসন আমরা বরদাস্ত করব না, পাল্টা জবাব দেব।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:অক্টোবরে মোদী-চিনফিং বৈঠকে কাশ্মীর ‘মূল বিষয়’ না-ও হতে পারে, জানাল বেজিং
আরও পড়ুন:মায়ের শ্রাদ্ধের টাকাও নেই অনাথ ভাইবোনের

ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেও,গত দেড় মাস পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত-বিরোধী প্রচার চালানোর চেষ্টা করে চলেছেন। যদিও সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি কোনও ভাবেই। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের পার্শ্ববৈঠকে সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছ। আসন্ন বৈঠকেও পাক বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহেমুদ কুরেশিভারত-পাক দ্বৈরথের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেন বলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান। মঙ্গলবার জয়শঙ্কর বলেন,‘‘সার্ক-এর এই অধোগতি কার জন্য ঘটেছে সেটা সংশ্লিষ্ট সব দেশই জানে। সার্কের প্রয়োজন ছিল আঞ্চলিক সহযোগিতা, বাণিজ্য, এবং সংযোগ। সন্ত্রাসবাদ নয়।’’ এই সময়ে তিনি পাকিস্তানের সন্ত্রাস মদতকে ভারতের নয়া চ্যালেঞ্জ বলেও উল্লেখ করেন। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সন্ত্রাসে লাগাতার মদত দেওয়াই পাকিস্তানের বিদেশনীতি, এমনটাই মনে করেন জয়শঙ্কর। পাকিস্তানের এই নীতিকে ‘বিকৃত’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement