অভিযুক্ত পাক দূতাবাসের কর্মী।
পাক হাই কমিশনে বসেই ‘ইধার কা মাল উধার’!
দিল্লির পাক দূতাবাস ঘুরে ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানে। যার নেপথ্যে ছিল খাস পাক দূতাবাসের এক কর্মী। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাতেনাতে পাকড়াও করার পর অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল বিদেশমন্ত্রক। অভিযুক্তকে শনিবারের মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাক দূতাবাসের ওই কর্মীকে আটক করেছিল দিল্লি পুলিশ। ওই কর্মীর নাম মেহমুদ আখতার। আটক করা হয় তাঁর দুই ভারতীয় সঙ্গীকেও। মৌলানা রামজান এবং সুভাষ জাঙ্গির নামে দুই সঙ্গীই রাজস্থানের বাসিন্দা। আটক হওয়া তিন জনের কাছ থেকেই ভারতীয় সেনার অনেক গোপন নথি মিলেছে।
দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমনকারী শাখার দেওয়া তথ্য অনুসারে, ধৃত ওই দুই রাজস্থানের বাসিন্দা আদপে আইএসআই চর। তারাই এই সমস্ত গোপন নথি পৌঁছে দিত পাক দূতাবাসের ওই কর্মীকে। তার পর দিল্লিতে বসেই সেগুলো সন্তর্পণে পাকিস্তানে আইএসআই-এর হাতে পাচার করার কাজটা করতেন তিনি। তবে ওই দুই রাজস্থানির কাছে কী ভাবে এই নথি এসে পৌঁছোত, তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনও যোগ রয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ধৃত দুই রাজস্থানি।
এ দিন পাকড়াওয়ের পরে থানায় তাঁকে বেশ কিছু ক্ষণ জেরা করা হয় পাক অভিযুক্ত কর্মীকে। কিন্তু কূটনৈতিক রক্ষাকবজ থাকায় জেরার পর অভিযুক্ত অফিসার ছাড়া পেয়ে যান। উদ্বিগ্ন তদন্তকারী অফিসাররা বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এই ঘটনার জেরে এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিদেশ মন্ত্রকের অফিসে জরুরি তলব করা হয় ভারতের নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত আব্দুল বাসিতকে। সেখানেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল বাসিতের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। বাসিতকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, অভিযুক্ত কর্মী অবাঞ্ছিত, যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে দেশ ছাড়তে হবে। ভবিষ্যতে পাক দূতাবাসে বসে এ ধরনের কাজ যাতে না হয় সে ব্যাপারেও নজর রাখতে বলা হয়েছে পাক রাষ্ট্রদূতকে।