—ফাইল চিত্র।
আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে এখনই তিনি ছাড়া পাচ্ছেন না। কারণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে থাকতে হবে চিদম্বরমকে।
চিদম্বরমের জামিনের আবেদন গত ৩০ সেপ্টেম্বর খারিজ করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আজ সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই জানায়, দু’জন সাক্ষীকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন চিদম্বরম। ওই বক্তব্য খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কবে, কখন ও কী ভাবে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেই। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি আর ভানুমতীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ জানিয়েছে, অন্য কোনও মামলায় প্রয়োজন না-হলে চিদম্বরমকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। এক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে চিদম্বরমের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া ওই নেতা দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। চিদম্বরম যদি তাঁর পাসপোর্ট জমা দিয়ে না থাকেন, তা হলে তা বিশেষ আদালতে জমা দিতে হবে। তদন্তের প্রয়োজন যখনই প্রাক্তন মন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হবে, তখনই তাঁকে তদন্তকারীদের সামনে হাজির হতে হবে। শীর্ষ আদালতে আজ সিবিআই দাবি করে, চিদম্বরমের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে বলেছে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যে শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে, তাতে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ও আত্মগোপনের সম্ভাবনা নেই।
একটি বেসরকারি সংস্থার দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আজ বম্বে হাইকোর্ট চিদম্বরম এবং দু’জন আমলাকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে বলেছে।
অধীর চৌধুরীর সেই টুইট
চিদম্বরমের জামিনের পর নিজের টুইটার হ্যান্ডলে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী ইংরেজিতে লেখেন, ‘‘চিদম্বরমজি প্রমাণ করলেন দিনের শেষে সত্যই জয়যুক্ত হয়। উনি অপ্রতিরোধ্য।’’ কিন্তু তাঁর শব্দ ব্যবহার নিয়ে নেট নাগরিকদের অনেকই কটাক্ষ করেছেন। এক জন লিখেছেন, ‘‘এমন ইংরেজি শশী তারুরও লেখেন না।’’