অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বানানো কোভিড টিকা। - ফাইল ছবি।
প্রয়োজনীয় যাবতীয় অনুমোদন মিললে ভারতের বাজারে প্রথমে আসতে পারে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বানানো কোভিড টিকাই। আর সেটা হয় আসবে এ বছরের শেষে, না হলে আগামী বছরের গোড়ার দিকে। জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে। এর আগে তিন স্তরের ট্রায়াল সফল ভাবে পেরিয়ে আসা কোনও টিকা ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
অক্সফোর্ডের বানানো কোভিড টিকা নিয়ে ভারতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছ থেকে জরুরি অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে পুণের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট। দু’টি পর্যায়ে সফল হলে ভারতে টিকা তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় অনুমোদন প্রয়োজন।
প্রায় একই ধারণা আমেরিকার শীর্ষ স্তরের এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফওসিরও। তিনি জানিয়েছেন, হিউম্যান ট্রায়ালের তিনটি পর্ব ‘ফেজ-ওয়ান’, ‘ফেজ-টু’ এবং ‘ফেজ-থ্রি’, সফল ভাবে পেরিয়ে কোনও টিকার বাজারে আসতে গেলে আরও অন্তত চার থেকে ছয় মাস সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে এ বছরের একবারে শেষে বা আগামী বছরের গোড়ার দিকের আগে ট্রায়ালের সবক’টি পর্যায়ে সফল কোনও টিকার বাজারে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফওসি এও জানিয়েছেন, যতটা প্রয়োজন, তার অর্ধেক টিকাও যদি আগামী বছরের শেষাশেষি বানিয়ে ফেলা সম্ভব হয়, তা হলেও বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই রুখে দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন- ২৭ লক্ষ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ২০ লক্ষ, নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ হারও
আরও পড়ুন- আদৌ কি দ্বিতীয় বার করোনা সংক্রমণ হতে পারে? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত যেটুকু খবর তাতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বানানো কোভিড টিকাই সম্ভবত অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের আগে বাজারে আসতে চলেছে।
ও দিকে অক্সফোর্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোভিড টিকা বানাচ্ছে যে টিকা সংস্থা, সেই ‘অ্যাস্ট্রোজেনেকা’র সঙ্গে সদ্য চুক্তি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকারেরও। তাই সে দেশের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, ওই টিকা অস্ট্রেলিয়ায় বানানো হবে আর তা বিনামূল্যে দেওয়া হবে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের।
টিকা তৈরির দৌড়ে রয়েছে চিনা সংস্থাও। চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ওষুধ সংস্থা ‘সাইনোফার্ম’ জানিয়েছে তাদের বানানো টিকা এ বছরের শেষাশেষি বাজারে এসে যাবে। সংস্থার চেয়ারম্যান লিউ জিংঝেন বলেছেন, ‘‘টিকার দাম প়ড়বে ১৪০ ডলারেরও কম। সেই টিকা ২৮ দিনের ব্যবধানে দু’বার দিতে হবে।’’