National News

ধৃত আইএস জঙ্গি বিয়ে করেছিল উত্তরপ্রদেশের মেডিক্যাল ছাত্রীকে

অনলাইনে আলাপ হলেও ২৪ বছর বয়সী ডাক্তারির ছাত্রীটির সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ়তর হতে সময় লাগেনি আমজাদের। ফোনাফুনিও শুরু হয়ে যায় দু’জনের মধ্যে, শিগগিরই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৭ ১৬:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ছাত্রীটি ডাক্তারি পড়তেন। অনলাইনে আলাপ হল তার আমজাদ খান ওরফে আয়ান খান সালাফির সঙ্গে। আমজাদের কাজ ছিল সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শাখা ‘জুনুদ-উল-খলিফাফিল-হিন্দ’ (জেকেএইচ)-এ নতুন নতুন লোক নিয়ে আসা। যুবক-যুবতীদের আইএসের মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করে তোলা। অনলাইনে আলাপ হলেও ২৪ বছর বয়সী ডাক্তারির ছাত্রীটির সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ়তর হতে সময় লাগেনি আমজাদের। ফোনাফুনিও শুরু হয়ে যায় দু’জনের মধ্যে, শিগগিরই। এমনকী, সেই টেলিফোনেই তখন সৌদি আরবে থাকা আমজাদের সঙ্গে বিয়েও হয়ে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে একটি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীটির। ২০১৬-য়।

Advertisement

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) গোয়েন্দাদের জেরায় এ কথা জানিয়েছেন খোদ আমজাদই। আমজাদকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে সৌদি আরব সরকার, গত এপ্রিলে। আমজাদ বলেছেন, আজমগড়ের কলেজে ওই ডাক্তারির ছাত্রীটিকে তিনি সিরিয়ায় গিয়ে তাঁর কাছে থাকতে বলেছিলেন। তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের বাবা জেনেও ছাত্রীটি তাতে রাজিও হয়ে গিয়েছিলেন। তার আগে গত বছরের মে মাসেই দু’জনের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল টেলিফোনে।

জেরায় আমজাদ এও জানিয়েছেন, তিনি আদতে রাজস্থানের চুরুর বাসিন্দা। ভারতে আইএস সংগঠনের মাথা শফি আরমারের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন আমজাদ। প্রথমে তিনি শফিকে ‘ভারতের লোক’ বলে মনে করেছিলেন। ৩৭ বছর বয়সী আমজাদ কাজটা চালাতেন মূলত সৌদি আরব থেকে। ভারতে আইএসের শাখা জেকেএইচে নতুন নতুন লোক আনতে এ দেশের যুবক-যুবতীদের মধ্যে সংগঠনের মতাদর্শ প্রচারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এই আমজাদ। গত বছর ওই সংগঠনের জনাতিরিশেক সদস্যকে গ্রেফতার করে এনআইএ।

Advertisement

আরও পড়ুন- পৃথিবীর কোথা থেকে বেরচ্ছে ওই হিরে ঠিকরোনো আলো?

আমজাদ জানান, আজমগড়ের ওই ডাক্তারির ছাত্রীটির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় ২০১২-র নভেম্বর/ডিসেম্বরে। আহল-এ-হাদিথ ও ইসলাম নিয়ে আমজাদের গভীর পাণ্ডিত্য দেখে তাঁর প্রেমে পড়ে যান ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীটি। টেলিফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁদের দু’জনের মধ্যে ওই সব বিষয়ে আলোচনা হত। ২০১৪ সালে আমজাদ ওই ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীটিকে সৌদি আরবে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তাতে রাজিও হয়েছিলেন ছাত্রীটি। সৌদিতে আসার জন্য সিরিয়ায় থাকা আইএস জঙ্গি শফি আরমারের সঙ্গে ওই ছাত্রীটিকে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন আমজাদ। বলেছিলেন, দিনকয়েকের মধ্যেই তিনি ফিরে যাবেন সিরিয়ায়। তখন সেখানে আমজাদের সঙ্গে থাকতে পারবেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement