PM CARES for Children Scheme

পিএম কেয়ার্স: কোভিডে অনাথ অর্ধেক শিশুই বঞ্চিত

পিএম কেয়ার্স-এর আওতাধীন এই প্রকল্পে মা-বাবা হারানো শিশুদের ২৩ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিনামূল্যে স্বাস্থ্য বিমা, শিক্ষা ব্যবস্থা ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়ে থাকে। দত্তক নেওয়া শিশুর মা-বাবার মৃত্যুতেও একই সাহায্য বরাদ্দ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৭
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।

গোটা দেশে কোভিড সংক্রমণের হার তখন শীর্ষে। হাজার হাজার মৃত্যু। সেই সময়ে, ২০২১ সালের ২৯ মে, ‘পিএম কেয়ার্স ফর চিল্ড্রেন স্কিম ফর কোভিড অরফ্যানস’ নামে সরকারি শিশু সুরক্ষা প্রকল্পটি চালু হয়। ঘোষণা করা হয়, এই প্রকল্পে ২০২০ সালের ১১ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ৫ মে পর্যন্ত কোভিড অতিমারিতে অভিভাবকহীন হয়ে পড়া শিশুদের সাহায্য করা হবে। অভিযোগ, এই প্রকল্পে যতগুলি আবেদন সরকারের ঘরে জমা পড়েছে, তার ৫১ শতাংশই বাতিল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন এই আবেদনপত্রগুলি গ্রহণ করা হয়েছিল, তার কোনও সন্তোষজনক জবাব নেই কেন্দ্রীয় সরকারের ঘরে।

Advertisement

পিএম কেয়ার্স-এর আওতাধীন এই প্রকল্পে মা-বাবা হারানো শিশুদের ২৩ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিনামূল্যে স্বাস্থ্য বিমা, শিক্ষা ব্যবস্থা ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়ে থাকে। দত্তক নেওয়া শিশুর মা-বাবার মৃত্যুতেও একই সাহায্য বরাদ্দ। মা-বাবা নেই, এমন শিশুর অভিভাবকের মৃত্যুতেও সরকারি সহায়তা মেলার কথা। সরকারি নথি অনুযায়ী, এই প্রকল্পে দেশের ৩৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬১৩টি জেলা থেকে মোট ৯৩৩১ আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৩২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৫৮টি জেলার মাত্র ৪৫৩২টি আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। এর থেকে বেশি, ৪৭৮১টি আবেদনই খারিজ হয়ে গিয়েছে। ১৮টি আবেদনপত্রের এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর এমন প্রকল্পে এত সংখ্যক আবেদনপত্র কেন নামঞ্জুর হয়েছে, তার কোনও নির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক।

সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছিল রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ থেকে (যথাক্রমে ১৫৫৩, ১৫১১ ও ১০০৭)। রাজস্থানে আবেদন মঞ্জুর হয়েছে মাত্র ২১০টি, উত্তরপ্রদেশে ৪৬৭টি এবং মহারাষ্ট্রের ৮৫৫টি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement