উত্তরপ্রদেশে শতাধিক বাঁদরের মৃত্যুতে শোরগোল। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে একসঙ্গে শতাধিক বাঁদরের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্যা বাড়ছে। কী ভাবে এতগুলি বাঁদরের মৃত্যু হল, তা নিয়ে রাজ্যের এই শহরে জোর চর্চা চলছে। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বাঁদরগুলির। কিন্তু কী থেকে বিষক্রিয়া হল, তা জানতে প্রাণীগুলির দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
উল্লেখযোগ্য যে, হাথরসে ফুড কর্পোরেশন অফিসের একটি গুদামের পাশে মাটির নীচ থেকে বাঁদরগুলির দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খাদ্য নিগমের ওই গুদামের আশপাশে কীটনাশক ছড়ানো হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এখন প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি সেই কীটনাশকের জেরেই এতগুলি প্রাণীর মৃত্যুর হল? না কি বাঁদরগুলিকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, খাদ্য নিগমের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, গুদামে রাখা দানাশস্যে যাতে পোকামাকড় না ধরে, ইঁদুরের হাত থেকে ওই শস্য বাঁচাতে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ছড়ানো হয়েছিল। গুদামের ভাঙা জানলা দিয়ে বাঁদরের দল ভিতরে ঢুকেছিল। তার পরই বাঁদরগুলির দেহ উদ্ধার হয়। মনে করা হচ্ছে বন্ধ গুদামে কীটনাশকের গ্যাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করায় বাঁদরগুলির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, একসঙ্গে শতাধিক বাঁদরের মৃত্যুর খবর ঊর্ধ্বতনদের না জানিয়েই প্রাণীগুলিকে গুদামের পাশে মাটি খুঁড়ে গুদামের কর্মীরা পুঁতে দেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের হয়।