ছবি এএফপি।
দিল্লির সাম্প্রতিক গোষ্ঠী সংঘর্ষের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে একের পর এক সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের মুখকে পুলিশ নিশানা করায় এ বার সারা দেশে প্রতিবাদের ডাক দিল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সম্মিলিত মঞ্চ ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’। তবে লকডাউনের নিয়ম মেনে ২৫ এপ্রিল সবাইকে নিজের-নিজের বাড়ি থেকেই এই প্রতিবাদে শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরেই তার পিছনে সংঘর্ষের তত্ত্বের কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ। এখন তারা ওই সংঘর্ষের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার দুই পড়ুয়া মীরন হায়দর এবং সফুরা জ়ারগরকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে জেএনইউ প্রাক্তনী উমর খালিদের ভূমিকাও। এঁরা সকলেই সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিরোধী লড়াইয়ের মুখ ছিলেন বলে দাবি প্রতিবাদী ছাত্র সংগঠনগুলির। ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার এক রকম নিঃশব্দে এই সব কাজ করে চলেছে। সম্প্রতি কাশ্মীরের চিত্র সাংবাদিক মাসরত জ়াহরাকে ইউএপিএ আইনে বন্দি করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে আরও তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সমাজকর্মী গৌতম নওলাখা আনন্দ তেলতুম্বডেকে ভীমা-কোরেগাঁও কাণ্ডে নিশানা করা হয়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলি এই সব গ্রেফতারির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে।
ছাত্র সংগঠন এআইএসএ-র অভিযোগ, করোনা-সংক্রমণ রুখতে এই ঘরবন্দির সময়েও বিরোধী স্বরকে নিশানা করছে সরকার। নিজেদের দুই পড়ুয়া আটক হওয়ার পরেও জামিয়ার উপাচার্য কেন মুখ খোলেননি, সেই প্রশ্নও তুলেছে তারা। পুলিশ সূত্রে দাবি, সমস্ত গ্রেফতার কিংবা আটক করা হয়েছে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)