ধর্মেন্দ্র প্রধান। —ফাইল চিত্র।
অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম দিনেই প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে সংসদ ও সংসদের বাইরে রীতিমতো অস্বস্তির মুখে পড়তে হল নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। আজ এক দিকে লোকসভায় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে শপথ গ্রহণের সময়ে বিরোধী শিবিরের ‘নিট-নিট’ কটূক্তির সামনে পড়তে হয়, অন্য দিকে প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডের প্রতিবাদে সংসদ ঘেরাওয়ের ডাক দিয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই। আটক হন জনা ত্রিশেক পড়ুয়া।
নরেন্দ্র মোদী সরকার শপথ নেওয়ার দু’সপ্তাহের মাথায় আজ থেকে শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা। এই দু’সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে সর্বভারতীয় স্তরের নানা পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস-সহ অনিয়ম ও পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণায় সরকারের মুখ পুড়েছে। খোদ শিক্ষামন্ত্রী স্নাতক স্তরের ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের প্রশ্ন ফাঁস মেনে নিয়েছেন। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার বাতিল হয়েছে ইউজিসি-নেট। প্রশ্ন ফাঁসের আশঙ্কায় স্থগিত হয়ে গিয়েছে সিএসআইআর নেট ও স্নাতকোত্তর স্তরের নিট-ও।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অষ্টম মন্ত্রী হিসাবে ধর্মেন্দ্রর নাম শপথ নেওয়ার জন্য ঘোষণা হতেই, গোটা বিরোধী বেঞ্চ এক সুরে নিট-নিট বলে চিৎকার করতে থাকে। কোনও কোনও সাংসদ অবিলম্বে ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা প্রতিকারের দাবি তোলেন। দাবি ওঠে শিক্ষামন্ত্রীর ইস্তাফারও। আজ ওড়িয়া ভাষায় শিক্ষামন্ত্রী যতক্ষণ শপথ নেন কার্যত ততক্ষণই তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শোনা যায় বিরোধীদের। বিজেপির এক নেতার আক্ষেপ, “আসলে সময় খারাপ হলে যা হয়। তা না হলে একের পর এক এ ভাবে কখনও প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে!”
অন্য দিকে, সংসদের বাইরেও শিক্ষামন্ত্রীর ইস্তফা চেয়ে পথে নেমেছিল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য পরিকল্পিত ভাবে আজকের দিনটিকেই বেছে নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। লক্ষ্য, নতুন লোকসভার প্রথম দিন থেকেই সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি। নিট প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে ইতিমধ্যেই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। প্রশ্ন ফাঁস দুর্নীতিতে বিহার, গুজরাত ও রাজস্থান পুলিশ যে পাঁচটি অভিযোগ দায়ের করেছে, আজ সেই মামলা হাতে নিয়েছে সিবিআই।