Constitution Day

সংবিধান দিবসে বলতে দেওয়ার দাবি বিরোধীদের

আগামিকাল সংবিধান সভা কর্তৃক ভারতীয় সংবিধান গ্রহণের ৭৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। সেই উপলক্ষ্যে একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৭
Share:

পুরনো সংসদ ভবন। —ফাইল চিত্র।

আগামিকাল পুরনো সংসদের সেন্ট্রাল হলে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে সংসদের বিরোধী দলনেতাদের বক্তব্য রাখতে দেওয়ার দাবি জানালেন বিরোধীরা।

Advertisement

আগামিকাল সংবিধান সভা কর্তৃক ভারতীয় সংবিধান গ্রহণের ৭৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। সেই উপলক্ষ্যে একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিজেপি শাসনে সংবিধান বিপদের মুখে, বিজেপি চারশোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় এলে সংবিধান পাল্টে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে, এমনকি বিজেপি পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সংরক্ষণ কেড়ে নেবে বলেও সদ্য হয়ে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক অর্থে প্রচার চালান রাহুল গান্ধীরা। যাতে গোটা দেশে দলিত সমাজের সমর্থন অনেকটাই বিজেপির পিছন থেকে সরে যায়। যার প্রভাব পড়ে ভোটবাক্সে। রাজনীতিকদের অনেকের মতে, সেই দলিত ভোটব্যাঙ্ককে ফিরিয়ে আনতেই সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান ঢাকঢোল পিটিয়ে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসক শিবির। মোদী সরকার যে সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ, পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে সেই বার্তা দিতেই আগামী এক বছর একাধিক কর্মসূচি উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামিকাল সেন্ট্রাল হলে বছরব্যাপী সেই কর্মসূচির সূচনা করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সংসদীয় সচিবালয়ের মতে, রাষ্ট্রপতি ছাড়াও উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান, লোকসভার স্পিকারের বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। পরে সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত সংবিধান দিবস উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

পুরনো সংসদের সেন্ট্রাল হলে হওয়া অনুষ্ঠানে কেন বিরোধী পক্ষের কাউকে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আজ সরব হয়েছেন কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীরা। অধিকাংশ বিরোধী দলের (তৃণমূল ব্যতীত) পক্ষ থেকে স্পিকারকে চিঠি লিখে সংসদের দু’কক্ষের বিরোধী দলনেতাকে কালকের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল বলেন, ‘‘এ দেশের সংবিধান কিন্তু শাসক ও বিপক্ষ উভয়কেই সমান চোখে দেখে। চেয়ারম্যান, স্পিকার প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখলেও, (সংবিধান দিবসে) উভয় কক্ষের বিরোধী নেতাদের কিছু বলতে ডাকা হয়নি।’’ কংগ্রেসের নেতৃত্বের ওই বক্তব্য মানতে রাজি নয় শাসক শিবির। বিজেপি নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, কংগ্রেস ভুল ব্যাখ্যা করেছে। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও লোকসভার স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার সুযোগ নেই। তাই বিপক্ষের কোনও ব্যক্তিকে বক্তব্য রাখতে ডাকা হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement