প্রকাশ সিংহ বাদল
আগামী সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে তৎপরতা তুঙ্গে উঠল রাজধানীতে। আপাতত প্রকাশ সিংহ বাদলের নাম ঝুলিতে রেখে বিরোধীদের মনোভাব বোঝার কাজটিও শুরু করছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি।
গত কালই রাজনাথ সিংহ, বেঙ্কাইয়া নায়ডু, অরুণ জেটলিকে নিয়ে একটি কমিটি গড়েছেন অমিত শাহ। আজ সকালে অমিত যান বেঙ্কাইয়ার বাড়িতে। মধ্যাহ্নভোজে বেঙ্কাইয়ার সঙ্গে দেখা করেন জেটলিও। তার পর দু’জনেই মিজোরামে থাকা রাজনাথের সঙ্গে কথা বলেন। ঠিক হয়েছে, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে শরিক ও বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কথা বলা শুরু হবে। বেঙ্কাইয়ার দাবি, বিরোধীদেরও অনেকে যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে। রাষ্ট্রপতি পদে তাঁরা নির্বাচন চান না। বাকি বিরোধী দলকেও বুঝতে হবে, সংখ্যা শাসক দলের সঙ্গেই। ফলে এই নিয়ে ঐকমত্য হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন: রাহুল এ বার ‘সন্দেশ যাত্রা’য়
বিরোধীরা আবার বুধবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসছে। সনিয়া গাঁধীর আমন্ত্রণে ১৭টি বিরোধী দলের বৈঠকেই স্থির হয়েছিল, আগে সরকার তাদের তাস দেখাক, তার পর বিরোধীরা প্রার্থী স্থির করবে। প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ফের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী না করলে বিরোধীরা নিজেদের প্রার্থী দেবে। সেই লক্ষ্যেই কাল বিকাল চারটে নাগাদ সংসদে গুলাম নবি আজাদের কক্ষে বৈঠকে বসছেন বিরোধী নেতারা। বিরোধীদের এই মনোভাব বুঝেই সর্বসম্মতির লক্ষ্যে এগোতে চাইছে বিজেপি। এক সূত্রের মতে, ক’দিন আগেই শরদ পওয়ার দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। তার পরেই বিজেপির তরফে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদলের নাম ঘুরপথে টানা হয়েছে। বাদল অবশ্য নিজে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির দৌড়ে তিনি নেই। এই অবস্থায় শাসক দল আপাতত জল মাপার কাজটি শুরু করতে চাইছে। পরে সুযোগ মতো প্রার্থী বদলও হতে পারে। বেঙ্কাইয়া আজ বলেন, ‘‘শাসক দলের দায়িত্ব সকলের সঙ্গে কথা বলে সর্বসম্মতি তৈরি করা। সেটাই গণতন্ত্রের ধর্ম। বিরোধীদেরও সমর্থন চাওয়া হবে। তবে তাদেরও বোঝা উচিত, ‘জনমত’ কোন দিকে।’’ সরকারের মতে, এনডিএ-র শরিকদের বাইরেও বিজেডি, এডিএমকে, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো কিছু দল আছে, যাদের সমর্থন নিয়ে এনডিএ-র প্রার্থী অনায়াসেই জিততে পারেন।
বিরোধীরা বুঝতে পারছে, অমিত শাহের কমিটিতে জেটলি, রাজনাথ, বেঙ্কাইয়ার মতো এমন নেতাদের রাখা হয়েছে যাঁদের সঙ্গে বিরোধীদের সম্পর্ক ভাল। তাতে হাল ছাড়ছে না বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই এনডিএ-র অন্দরমহলে বেসুরে বাজছে শিবসেনা। বিরোধীরা কোনও মরাঠি প্রার্থী দিলেই শিবসেনাকে দলে টানা যাবে। এই অবস্থায় চলছে নানা অঙ্ক। তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আগামিকালের বৈঠকে যা আলোচনা হবে, দলীয় নেতৃত্বকে জানাব। তার পর দল যা পদক্ষেপ করার করবে।’’