ডেরেক ও’ব্রায়েন।—ফাইল চিত্র।
রাজনৈতিক সম্পর্কে ‘মধুর রসায়নের’ ইঙ্গিত মিলেছিল বুধবারই। শুক্রবার জেইই এবং নিট পিছোনোর দাবিতে ডাকা বিরোধীদের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সেই সম্ভাবনা আরও উস্কে দিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের দাবি, “এ তো প্রথম ধাপ। আগামী দিনে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরতে সংসদ-সহ বিভিন্ন মঞ্চে একসঙ্গে মুখ খুলব আমরা।”
কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বোঝাপড়া চোখে পড়েছিল বুধবারের ওই বৈঠকে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনরাও যে ভাবে জেইই-নিট পিছোনোর চেষ্টায় রণকৌশল তৈরিতে একমত হয়েছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল, আসলে জোট বেঁধে কেন্দ্রের বিরোধিতার সলতে পাকানোর কাজ শুরু হল ওই বৈঠকে। কার্যত সেই জল্পনা মিলিয়ে ডেরেকের বক্তব্য, বুধবার বৈঠক ডাকা হয়েছিল এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের পরীক্ষার মুখে ঠেলে দেওয়ার অন্যায় এবং রাজ্যগুলিকে আর্থিক ভাবে কোণঠাসা করার মোকাবিলার পথ খুঁজতে। কিন্তু আগামী দিনে রাজনৈতিক দূরত্ব পাশে সরিয়ে রেখে বহু বিষয়ে এই সমস্ত বিরোধী দলকে সংসদে এবং সংসদের বাইরে সরকারের সমালোচনা করতে দেখা যাবে বলে তাঁর দাবি।
কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির দাবি, জেইই-নিটের এই প্রসঙ্গ আগামী দিনে সংসদেও উঠবে। তখন একসঙ্গে সরকারের কাছে জবাবদিহি চাইবেন তাঁরা। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বক্তব্য, “প্রতি বারই কেন্দ্র গোঁয়ার্তুমি করে ভুল কাজ করে। আর তার ক্ষত মেরামত করতে হয় রাজ্যগুলিকে।” শুধু জেইই-নিটের বিষয়ে রণনীতি তৈরির জন্যই ফের বৈঠকে বসার পক্ষপাতী তিনি।
ডেরেকের মতে, দিল্লি, ওড়িশা ইত্যাদি রাজ্য হয়তো এই মামলায় অংশীদার নয়। কিন্তু তারাও পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী। অর্থাৎ, আগামী দিনে এই প্রতিবাদ বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনার ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করতে পারে বলে তাঁর ইঙ্গিত।