Allahabad High Court

বিচারপতি যাদবকে সরাতে প্রস্তাবের তোড়জোড় বিরোধীদের

গত রবিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইন সেলের (কাশী প্রদেশ) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিচারপতি শেখর কুমার যাদব বলেছিলেন, দেশের সংখ্যাগুরু (অর্থাৎ হিন্দু)-দের ইচ্ছা অনুযায়ীই দেশ চলবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:০২
Share:

ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি শেখর কুমার যাদবকে সরানোর জন্য বিরোধী সাংসদরা সংসদে প্রস্তাব আনতে চলেছেন। লোকসভা ও রাজ্যসভা, সংসদের দুই কক্ষেই এ নিয়ে সই সংগ্রহ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধী শিবির সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই সংসদে এই প্রস্তাবের নোটিস দেওয়া হতে পারে।

Advertisement

গত রবিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইন সেলের (কাশী প্রদেশ) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিচারপতি শেখর কুমার যাদব বলেছিলেন, দেশের সংখ্যাগুরু (অর্থাৎ হিন্দু)-দের ইচ্ছা অনুযায়ীই দেশ চলবে। মুসলিমদের ‘ক্ষতিকারক’ বলেও দাবি করেছিলেন। এর পরেই তাঁকে বিচারপতির পদ থেকে সরানোর দাবি তোলেন বিরোধী সাংসদরা।

সূত্রের খবর, লোকসভায় ওই প্রস্তাব নিয়ে সমাজবাদী পার্টি উদ্যোগী হয়েছে। তাতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র-সহ তৃণমূল সাংসদেরাও সই করেছেন। রাজ্যসভায় উদ্যোগী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে নির্বাচিত নির্দল সাংসদ আইনজীবী কপিল সিব্বল। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, সিপিএম, সিপিআই মিলিয়ে ৩৬ জন সাংসদ তাতে সই করেছেন।

Advertisement

কোনও বিচারপতিকে সরানোর জন্য সংবিধানের ১২৪(৪) ও ১২৪(৫) অনুচ্ছেদ ও বিচারপতি তদন্ত আইন অনুযায়ী সংসদীয় প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। লোকসভায় এই প্রস্তাবের জন্য অন্তত ১০০ জন এবং রাজ্যসভায় ৫০ জন সাংসদের সই প্রয়োজন। লোকসভার স্পিকার বা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তা গ্রহণ করলে দু’জন বিচারপতি এবং এক জন আইনজ্ঞকে নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি হয়। সেই কমিটিই ঠিক করে, ওই অভিযোগ বিচারককে অপসারণের যোগ্য কি না। লোকসভা ও রাজ্যসভায় সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব পাশ করাতে হলে মোট সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন প্রয়োজন। তার সঙ্গে উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দরকার।

বিরোধীদের বক্তব্য, বিজেপি তথা এনডিএ সমর্থন না করলে ওই প্রস্তাব পাশ করানো সম্ভব নয়। বিচারপতি যাদবের ক্ষেত্রে বিজেপি তা সমর্থন করবেও না, তবে বিচারপতিদের বার্তা দেওয়া যাবে। এর আগে মোদী জমানায় প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে অপসারণের প্রস্তাব আনা হয়েছিল। যদিও তাঁর অবসরের আগে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement