গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ।
অনলাইন শপিংয়ে এবার বাড়তি টাকা গুনতে হতে পারে ক্রেতাদের। কারণ, মহারাষ্ট্রে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ায় দাম বাড়তে চলেছে প্যাকেজিংয়ের।
ঘরে বসে অনলাইনে শপিং করলে সময়ও বাঁচে, আবার শপিংয়ের ঝক্কি পোহাতে হয় না। তাই অনলাইন শপিংই এখন অনেকের ভরসা।এবার সেই সিদ্ধান্তে কি তবে খানিকটা রাশ টানতে হবে?
দেশের ১৮তম রাজ্য হিসেবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।বন্ধ হচ্ছে থার্মোকলের থালা, বাটি, গ্লাস ব্যবহারও।তারই প্রভাব পড়ছে ই-কমার্স সাইটগুলোতে। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই ই-কমার্স সংস্থাগুলির রমরমা সবচেয়ে বেশি।তাই আপনার অর্ডার করা জিনিসগুলি এবার বাড়িতে আসতে পারে শুধু কার্ডবোর্ডের বাক্সে। সুরক্ষার কারণে কিছু বিক্রেতা আরও বেশি পুরু বাক্সে ভরে ক্রেতাকে প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠাচ্ছেন, ফলে খরচ আরও বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে অনলাইন শপিং হতে চলেছে আরও মহার্ঘ।
প্যাকেটজাত করার খরচ বাড়লে প্রভাব পড়তে বাধ্য জিনিসের দামেও।এমনিতেই প্লাস্টিকের তুলনায় কার্ডবোর্ডের দাম বেশি, সেই খরচ অনলাইন ক্রেতাদের মাধ্যমেই পুষিয়ে নিতে চায় ই-কমার্স সাইটগুলো। প্লাস্টিক প্যাকেজিং বা থার্মোকলের প্যাকেজিং তুলনামূলক সস্তা। কাগজের প্যাকিং বাক্স ব্যবহারের ফলে শুধুমাত্র প্যাকেজিংয়ের খরচ বেড়ে যাচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ।এই কার্ডবোর্ড বাক্সগুলিরই দাম আট থেকে তেরো টাকা।
ই-কমার্স সংস্থা গুলি জানিয়েছে, আগের তুলনায় মহারাষ্ট্র ও দেশের অন্য প্রান্তে অনলাইন ক্রেতাদের চাহিদামতো জিনিস পৌঁছে দিতে খরচ বেড়েছে ৭৫ শতাংশ।রাজ্যের বাইরে জিনিস পৌঁছে দেওয়ার খরচ আরও বেশি।তাই অনলাইন শপিংয়ে জিনিসপত্রের দাম আগের তুলনায় বেশ খানিকটা বেড়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের পরিবেশমন্ত্রী রামদাস কদম জানিয়েছেন, বিভিন্ন রোগের মূল কারণ হচ্ছে প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার।তাই প্রশাসন প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।যদি কোনও প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং ব্যবহারকারী এই নির্দেশিকা অমান্য করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হবে।
মহারাষ্ট্রে প্রতিদিন ১১০০ টন বর্জ্য জমা হয়।বহু রোগের আঁতুড়ঘর এই বর্জ্য। রাজ্যের প্লাস্টিক কারখানাগুলিকে সুতির ব্যাগ তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।