কর্নাটকে ভোট প্রচারের শেষ দিনে বেঙ্গালুরুর বাসে সওয়ার হলেন রাহুল গান্ধী। কথা বললেন মহিলা যাত্রীদের সঙ্গে। সোমবার। ছবি: পিটিআই।
এক দল ভোটে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা চালিয়ে গেল। অন্য দল রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে বিভাজনে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করল। বুধবার কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে আজ ভোটের প্রচারে ইতি পড়ল। প্রচারের শেষ দিনেও ভোটের মেরুকরণ করতে অমিত শাহ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ আনলেন। বললেন, কংগ্রেস কর্নাটকে সংখ্যালঘু তোষণের জন্যই মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল। বিজেপি তা তুলে দিয়েছে।
অমিত শাহ যখন ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা করছেন, কংগ্রেস তখন কর্নাটকে রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই দেখানোর চেষ্টায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার মধ্যে সমন্বয়ের ছবি তুলতে চেয়েছে। কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে দুই নেতাই মুখ্যমন্ত্রী হতে মরিয়া। কংগ্রেস আজ একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শিবকুমার ও সিদ্দারামাইয়া নির্বাচন ও বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ নিয়ে গভীর আলোচনায় মগ্ন।
প্রচারের শেষ দিনে বেঙ্গালুরুতে রাহুল গান্ধীর সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু তা বাতিল হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এর বিরুদ্ধে ছিলেন। রাহুল তার পরিবর্তে বেঙ্গালুরুর কানিংহাম রোডের একটি কাফেতে কফি খেয়ে সরকারি বাসে উঠে পড়েন। মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। সরকারে এলে মহিলাদের জন্য নিখরচায় বাসযাত্রা, গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পে মহিলাদের জন্য ২ হাজার টাকা ভাতার মতো কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতির কথা বলেন। মহিলারা তাঁকে মূল্যবৃদ্ধি, সংসার খরচ বেড়ে যাওয়ার সমস্যা জানান।
অমিত শাহ আজ দাবি করেছেন, কংগ্রেস যতই চেষ্টা করুক, বিজেপিই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় ফিরছে। অন্য দিকে বেঙ্গালুরুতে প্রচারের শেষদিনে রোড-শো করার পরে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা বলেছেন, কংগ্রেসই সরকার গড়বে। ১০ তারিখ ভোটগ্রহণের পরে রাজ্য জুড়ে ইভিএম পাহারা দেওয়ার জন্য দলের কর্মীদের নিয়ে বিশেষ দল তৈরি করেছে কংগ্রেস। এই কর্মীরা ১৩ মে ভোটগণনা পর্যন্ত পালা করে ইভিএম রাখার স্ট্রংরুম পাহারা দেবেন।