Pahalgam Terrorist Attack

স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে, নেয় সেনা প্রশিক্ষণও! গত বছর চার জঙ্গির সঙ্গে কাশ্মীরে ফেরে পহেলগাঁওকাণ্ডের চক্রী আদিল

সূত্রের খবর, পাকিস্তানে যাওয়ার পর সেখানে সেনার প্রশিক্ষণও নিয়েছিল আদিল। লশকর-এ-ত্যায়বা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। লশকরের তত্ত্বাবধানে বেশ কিছু দিন প্রশিক্ষণ নেয় সে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৩৮
Share:
পহেলগাঁওকাণ্ডের অন্যতম চক্রী আদিল আহমেদ শাহ। ছবি: সংগৃহীত।

পহেলগাঁওকাণ্ডের অন্যতম চক্রী আদিল আহমেদ শাহ। ছবি: সংগৃহীত।

পহেলগাঁওকাণ্ডের অন্যতম চক্রী সে। ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের সেই জঙ্গি আদিল আহমেদ ঠোকরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। খোঁজ চালাচ্ছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। কিন্তু কোথায় আদিল, তার এখনও হদিস মেলেনি। মনে করা হচ্ছে, বৈসরনে হামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আদিলের হাতেই।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগের বিজবেহরার বাসিন্দা আদিল ২০১৮ সালে বাড়ি ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি দেয়। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিল সে। কিন্তু কাশ্মীরে থাকাকালীনই যে পাক জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখত আদিল, সেই তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। পাকিস্তানে যাওয়ার পরই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সে। আট মাস ধরে আদিলের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। আদিলের ডিজিটাল তথ্যও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

সূত্রের খবর, পাকিস্তানে যাওয়ার পর সেখানে সেনার প্রশিক্ষণও নিয়েছিল আদিল। লশকর-এ-ত্যায়বা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। লশকরের তত্ত্বাবধানে বেশ কিছু দিন প্রশিক্ষণ নেয় সে। ছ’বছর পাকিস্তানে থাকার পর ২০২৪-এর শেষের দিকে কাশ্মীরে ফিরে আসে আদিল। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গত বছরের অক্টোবরে পুঞ্চ-রাজৌরি সেক্টরের দুর্গম রাস্তা ধরে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে ঢোকে সে। খাড়াই পাহাড়, ঘন জঙ্গল, নদী পেরিয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল আদিল। সেই সময় তার সঙ্গে ছিল তিন থেকে চার জন জঙ্গি। তাদের মধ্যে এক জন পাক নাগরিক হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই মুসাই পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী।

Advertisement

অনন্তনাগে পৌঁছোনোর পরই গা ঢাকা দেয় আদিল। তার সঙ্গে আসা চার জঙ্গিকে নিয়ে ঘন জঙ্গলে, কখনও প্রত্যন্ত গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল তারা। এই সময় জঙ্গিদের ‘স্লিপার সেল’-এর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে তারা। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এমন একটা জায়গায় খোঁজে ছিল যেটিকে হামলার জন্য বেছে নেওয়া হবে, শুধু তা-ই নয়, সেই হামলায় প্রাণহানি অনেক বেশি হবে যা, আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়বে। নিরাপত্তার জন্য আগেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বৈসরন উপত্যকা। কিন্তু এ বছর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। আর হামলা চালানোর জন্য এই জায়গাকেই বেছে নেয় আদিল এবং তার সঙ্গীরা। সূত্রের খবর, আদিলরা এমন একটা সময়কে হামলার জন্য বেছে নিতে চেয়েছিল, যা অমরনাথ যাত্রার শুরুর ঠিক আগে হবে। ঘটনাচক্রে, অমরনাথ যাত্রার আগেই বৈসরন উপত্যকা খুলে দেওয়া হয় পর্যটকদের জন্য। আর আদিলদের সামনে হামলা চালানোর রাস্তা আরও সহজ হয়ে যায়।

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে ২৫ ভারতীয় এবং নেপালের এক নাগরিককে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় অন্যতম চক্রী হিসাবে নাম উঠে এসেছে আসিফ শেখ এবং আদিল ঠোকরের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement