ডিজায়ারকে টক্কর দিতে গিয়ে ইকোকে ধাক্কা ল্যাম্বর্গিনির। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ছুটে চলেছে ব্যস্ত গাড়ির সারি। বহু গাড়ির ভিড় কাটিয়ে ছুটছিল একটি ল্যাম্বর্গিনিও। তার পাশেই ছিল একটি মারুতি ডিজায়ার। হঠাই গতি বাড়িয়ে ল্যাম্বর্গিনিকে অতিক্রম করার চেষ্টা করে ডিজায়ারটি। কিন্তু পথ ছাড়তে নারাজ ল্যাম্বর্গিনি। দুই গাড়িতে টক্করও চলে কিছুক্ষণ। এরপর আচমকাই নিজের লেন ছেড়ে বাঁ দিকে সরে আসে ল্যাম্বর্গিনিটি। এতেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ল্যাম্বর্গিনির সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাঁ পাশে থাকা একটি মারুতি ইকোর। ইকোটিকে রাস্তার ধারে আছড়ে ফেলে ল্যাম্বর্গিনি। ১৮০ ডিগ্রি পাল্টি খায় সেটি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ইকোর চালক আসাদ মালিকের।
শনিবার বিকেলের এই গোটা ঘটনাটিই ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে। নয়ডা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ বছরের আসাদ মালিকের বাড়ি জোশী কলোনিতে। সেখান থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে গ্রেটার নয়ডায় কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি। নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ের উপরে তার গাড়িটির পাশেই রেষারেষি করছিল ডিজায়ার ও ল্যাম্বর্গিনিটি। হঠাতই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে গাড়ি দু’টি। নিজের ট্র্যাক ছেড়ে অনেকটা বাঁ দিকে সরে আসে ল্যাম্বর্গিনিটি। এতেই ধাক্কা লাগে আসাদের ইকো গাড়িটিতে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম আসাদকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: লোকসান কমাতে ইকনমি ক্লাসে আমিষ খাবার বন্ধ করছে এয়ার ইন্ডিয়া
ডিজায়ারের চালক মহসিন খানকে গ্রেফতার করেছে নয়ডা পুলিশ। যদিও ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও ল্যাম্বর্গিনি গাড়িটির কোনও হদিশ পায়নি পুলিশ।
দেখুন সেই ভিডিও
পুলিশের কাছে মহসিন জানায়, দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার সমস্ত রকম চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ডিভাইডারের দিকে অনেকটা সরেও গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই রাস্তায় ভারী যানের গড় গতি ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা ও হাল্কা গাড়ির গড় গতি ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা রাখার কথা। অভিযোগ, সব গাড়িই ছোটে তার চেয়ে বেশি গতিতে। রাস্তায় নজরদারির জন্য রয়েছে ১৩২টি উচ্চমানের সিসিটিভি ক্যামেরা। কিন্তু হাজার নজরদারি সত্ত্বেও গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনাগ্রস্থ ডিজায়ার ও ল্যাম্বর্গিনির গতিও ১০০-র উপরে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভিডিও সৌজন্যে: ক্যাচ নিউজ