প্রতীকী ছবি-
তিন কামরার বেশ বড়সড় ফ্ল্যাট। কোনও ঘরেই আসবাবপত্র নেই। চার দিকে শুধু থরে থরে সাজিয়ে রাখা ছোট ছোট টব। আর সেই সব টবে গাঁজার বনসাই। যা দেখে হায়দরাবাদ পুলিশের চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়!
নিষিদ্ধ ওই গাঁজা়ই বাজারে বিক্রি করতেন ফ্ল্যাট মালিক সৈয়দ শাহিদ হোসেন। হায়দরাবাদের মতো শহরে কী ভাবে ফ্ল্যাটের ভিতর গাঁজার চাষ করতেন শাহিদ, তা ভেবে পাচ্ছেন না পুলিশকর্তারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার বছর তেত্রিশের শাহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোগ্রাম গাঁজা। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে ৪০টি টব, যার ভেতর পরম যত্নে বেড়ে উঠছিল গাঁজার বনসাই।
বেশ কিছু দিন ধরেই শাহিদ সম্পর্কে পুলিশের কাছে খবর ছিল। তবে জানা ছিল না, তিনি ফ্ল্যাটেই গাঁজার চাষ করতেন। এ দিন সকালে শহরের ভিতরে এক জায়গায় শাহিদ খদ্দেরদের কাছে গাঁজা বিক্রি করছিলেন। সেই সময় পুলিশ তাঁকে আটক করে। কোথা থেকে গাঁজা আমদানি করেন তিনি? প্রশ্নের জবাবে পুলিশকে শাহিদ জানান, কোনও জায়গা থেকে আমদানি করতে হয় না। তিনি নিজেই গাঁজার চাষ করেন। কোথায়? শাহিদ নিজেই তাঁর ‘খেত’-এর সন্ধান পুলিশকে দেন। এর পর পুলিশ তাঁকে নিয়ে ফ্ল্যাটে আসে। দেখা যায়, প্রতিটি ঘরেই চলছে গাঁজার চাষ।
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে যথেচ্ছ যৌন হেনস্থার ঘটনায় কর্নাটক সরকারের নিন্দায় কেন্দ্র
কী ভাবে গাঁজা চাষের কথা মাথায় এল?
শাহিদ পুলিশকে জানিয়েছেন, আগে পাইকারি বাজার থেকে গাঁজা কিনে তা খোলা বাজারে বিক্রি করতেন তিনি। কিন্তু, পরে তাঁর মাথায় গাঁজা চাষের ভাবনা আসে। মাস তিনেক আগে গরিথ ক্রিস্টোফার নামে আমেরিকায় থাকা তাঁর এক বন্ধুকে ঘরের ভিতরেই কী ভাবে গাঁজা চাষ করা যায়, তা নিয়ে পরামর্শ চান শাহিদ। গরিথের পাঠানো ভিডিও এবং তথ্য দেখেই ফ্ল্যাটে গাঁজার চাষ শুরু করেন তিনি। প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে নিয়ন্ত্রিত আলো এবং তাপমাত্রায় এই চাষ শুরু করেন শাহিদ। পরের দিকে বেশ জাঁকিয়েই চলতে থাকে চাষ। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ বেশ কিছু এলইডি লাইট, টেবল ফ্যান এবং প্রচুর রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ধার করেছে। এলইডি লাইট দিয়ে আলো এবং টেবিল ফ্যানের মাধ্যমে তাপমাত্রা ও বায়ুর গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করে চলত চাষের কাজ।