সঞ্জয় রাউত। —ফাইল চিত্র।
বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র শরিক দলগুলি রাজ্য স্তরে আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত নিলেও পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে ‘অন্য সিদ্ধান্ত’ হতে পারে বলে মন্তব্য করলেন সঞ্জয় রাউত।
উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত ইন্ডিয়া-র সমন্বয় কমিটির সদস্য। এই সমন্বয় কমিটিই সম্প্রতি দিল্লিতে শরদ পওয়ারের বাড়িতে বৈঠক করে রাজ্য স্তরে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইন্ডিয়া-য় কংগ্রেস ও বামদলগুলি এক ছাতার তলায় থাকলেও কেরলে যে কংগ্রেস-বাম-এর আসন সমঝোতা হবে না, তা আগেই স্পষ্ট ছিল। এ বার সঞ্জয় রাউত কেরলের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নামও জুড়ে দেওয়ায় এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি রাজ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বামেদের আসন সমঝোতা হচ্ছে না? রাউত বলেছেন, ‘‘ইন্ডিয়া জোটে সবাই একসঙ্গে জোট বেঁধে লড়লেও কিছু রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলাদা। যেমন, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ। এই দুই রাজ্যে ভিন্ন সিদ্ধান্ত হতে পারে।’’ তৃণমূল সূত্র বলছে, পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়া-র শরিক দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতা হবে কি না, তা রাজ্য স্তরেই ঠিক হবে। বিষয়টি তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেস, সিপিএমের মনোভাবের উপরে নির্ভর করবে। রাউত বোঝাতে চেয়েছেন, আসন সমঝোতার জন্য সব দলকেই নমনীয় হতে হবে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী গত দু’দিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ সফর, ডেঙ্গি পরিস্থিতি, বিরোধী শিবিরকে ভাঙাতে পুলিশকে কাজে লাগানো নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করছেন। আজ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘অধীর চৌধুরী তথা প্রদেশ কংগ্রেসকে ইন্ডিয়া-র রাজনৈতিক লাইন মানতে হবে। ওরা দু’মুখো নীতি নিচ্ছে। মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া-র শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। আর কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব সিপিএমের সঙ্গে মিলে বিজেপির সঙ্গে সহযোগিতা করছে।’’ জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা অবশ্য অধীরের আক্রমণ নিয়ে বলেছেন, ‘‘রাজ্যের কোন পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রদেশ সভাপতি কী বলেছেন, তা পুরোটা না জেনে আমি মন্তব্য করতে চাই না।’’