Manipur

তফসিলি জনজাতি তকমা থেকে কুকিদের বাদ দিতে আবেদন, কেন্দ্র মত চাইল মণিপুর সরকারের

সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তফসিলি জাতি ও জনজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের তরফের কুকিদের এসটি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেবনের বিষয়টি বিবেচনার জন্য ইম্ফলে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মণিপুরের বিজেপি সরকারের মতামত চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৮
Share:

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অঠওয়াল। —ফাইল চিত্র।

গত আট মাসের গোষ্ঠীহিংসার এখনও পুরোপুরি ইতি হয়নি মণিপুরে। এরই মধ্যে কুকিদের ‘তফশিলি জনজাতি’ (এসটি) তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদনের বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অঠওয়ালের নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়ার মণিপুরের নেতে মহেশ্বর থৌনঞ্জাম সম্প্রতি কুকিদের জনজাতি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য একটি আবেদন জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের কাছে। তারই ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ।

Advertisement

সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তফসিলি জাতি ও জনজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের তরফের কুকিদের এসটি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেবনের বিষয়টি বিবেচনার জন্য ইম্ফলে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মণিপুরের বিজেপি সরকারের মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আট মাস আগে ‘তফসিলি তকমা’ ঘিরে মতবিরোধের জেরেই মণিপুরে মেইতেই-কুকি সঙ্ঘাত ছড়িয়েছিল। যা থেকে রাজ্য জুড়ে হিংসার সূচনা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় পদক্ষেপে নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement