গুজরাতি ভাষায় ছাপানো সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে বিজেপিকে কার্যত কোণঠাসা করে বিধানসভা জয়ের পরেই তৃণমূল ঘোষণা করেছে এ বার তারা অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়বে। লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নিয়েই ঘোষণা করেছেন, অন্তত ১০টি রাজ্যে তিনি তৃণমূলের সংগঠন তৈরি করবেন। পাশাপাশি এ বার ২১ জুলাই উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল বক্তৃতাও বিভিন্ন রাজ্যে শোনানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।
গুজরাত সেই তালিকায় অন্যতম বড় চমক। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্যে ২১ জুলাই ‘দিদি’র ভার্চুয়াল উপস্থিতির সংবাদ রীতিমতো গুজরাতি ভাষায় পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার করা শুরু হয়েছে। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে মোদীর মুখে ‘দিদি, ও দিদি’ আহ্বান মমতার উদ্দেশে কটাক্ষের সূচক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। শাহ-ও বারবার নানা ভাবে ‘দিদি’ সম্বোধন করে শ্লেষ ও আক্রমণ শানিয়েছেন।
মমতার ভার্চুয়াল বক্তৃতা সম্পর্কে গুজরাতের পোস্টারে নির্দিষ্ট ভাবে ‘দিদি’ শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে লেখা হয়েছে ‘দিদি মমতা ব্যানার্জি’র নাম। তৃণমূলের ‘চেয়ারপার্সন’ হিসেবে তিনি ওই বক্তৃতা দেবেন বলেও উল্লেখ রয়েছে। এই ঘোষণা করছে ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, গুজরাত প্রদেশ’।
পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, ২১ জুলাইয়ের রাজনৈতিক বক্তৃতায় মমতা মোদী-শাহকে নিশানা করে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় বিঁধবেন। সেই জন্য মোদী- শাহের ‘আপন রাজ্য’ গুজরাতে তাঁর বক্তৃতা সরাসরি পৌঁছে দেওয়ার বাড়তি তাৎপর্য রয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা গুজরাত জুড়েই বড় পর্দায় মমতার বক্তৃতা শোনানোর আয়োজন হচ্ছে। সেখানে ৩৩টি জেলা। তার মধ্যে ৩২ জেলাতেই এই ব্যবস্থা থাকবে। উত্তরপ্রদেশেও এই রকম তোড়জোড় চলছে। সেখানে লখনউ ও অযোধ্যার দু’জায়গায় ব্যবস্থা এগিয়েছে। জায়গা আরও কয়েকটি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে তৃণমূলের খবর। ব্যবস্থা থাকছে তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা ও অসমেও।