জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। —ফাইল চিত্র।
ইন্ডিয়া মঞ্চকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা কংগ্রেসকে অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমরের এই মন্তব্যকে বিরোধী মঞ্চের মধ্যে ক্ষোভের আর একটি বহিঃপ্রকাশ বলেই দেখছেন রাজনীতিকেরা।
সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়া মঞ্চের উপযুক্ত নেতা হিসেবে তুলে ধরেছেন এনসিপি (শরৎচন্দ্র পওয়ার)-এর নেতা শরদ পওয়ার এবং আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। মমতা নিজেও ইন্ডিয়া মঞ্চকে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
মমতাকে নিয়ে প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি ওমর। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেস সংসদে একক বৃহত্তম দল। সংসদের দুই ভবনে বিরোধী দলনেতার আসনও তাদের দখলে। গোটা দেশে তাদের উপস্থিতি আছে। অন্য কোনও বিরোধী দলের এমন উপস্থিতি নেই। ফলে কংগ্রেস স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী মঞ্চের নেতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ কিন্তু সেই সঙ্গে ওমরের বক্তব্য, ‘‘মঞ্চের দলগুলি কিছুটা ক্ষুব্ধ। কারণ নেতৃত্বের অধিকার অর্জন করা বা ধরে রাখার মতো কাজ কংগ্রেস করছে না। এই বিষয়টি কংগ্রেস ভেবে দেখতে পারে।’’ ওমরের মতে,
এখনও মঞ্চের মধ্যে সনিয়া গান্ধীর মতো নেতা নেই। ইন্ডিয়া মঞ্চ যখনই একজোট হয় তখনই তিনি গুরুত্বপূর্ণ নেতার ভূমিকা নেন।
ওমরের মতে, ভোটের সময় ছাড়াও ইন্ডিয়া মঞ্চের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হওয়া উচিত। তাঁর কথায়, ‘‘কেবল লোকসভা ভোটের আগে ছ’মাস ধরে ইন্ডিয়া মঞ্চ একজোট হলে লাভ হবে না। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে আমরা শেষ বৈঠক করেছিলাম। তার পরে ইন্ডিয়া মঞ্চকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে কোনও কাজ করা হয়নি। নিয়মিত আলোচনা হলে হয়তো ছোট ছোট ক্ষোভ বড় আকার নেবে না।’’
জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের সময়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হওয়া জোট নিয়েও খুশি ছিলেন না ওমর। ন্যাশনাল কনফারেন্স ৪১টি আসন পেয়েছে। কংগ্রেস ৬টি। পর্যবেক্ষকদের মতে, কংগ্রেস জম্মু-কাশ্মীরে প্রচারে বিশেষ যুক্ত হয়নি।
ওমরের মতে, বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের জেতা আসনের সংখ্যা দেখে ভবিষ্যতের রণকৌশল ঠিক করা উচিত কংগ্রেসের। তাঁর কথায়, জম্মু-কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রে মঞ্চের শরিক দলগুলির মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য নির্বাচনী আঁতাঁত ভেঙে গিয়েছে।