দূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি। — ফাইল চিত্র।
দীপাবলির পরের দিনই দিল্লিতে চালু হচ্ছে জোড়-বিজোড় নীতি। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই পদক্ষেপ। রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রায় জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে দিল্লির সব স্কুল বন্ধ থাকবে। শুধু দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে।
রাজধানীতে ক্রমেই বাড়ছে বাড়ছে দূষণ। খারাপ হচ্ছে বাতাসের গুণমান। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সকল স্কুল বন্ধ ছিল এত দিন। এ বার কেজরীওয়াল সরকার জানাল, ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির সব স্কুল বন্ধ থাকবে। ক্লাস হবে শুধুমাত্র দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির।
ইতিমধ্যে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (জিএআরপি)-এর চতুর্থ পর্যায়ের অধীনে দিল্লিতে ডিজেল ট্রাক চলাচল এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিএস৩ পেট্রোল এবং বিএস৪ ডিজেল চালিত ট্রাক চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা থাকছে। দীপাবলিতে বাজি এবং ধোঁয়া ছাড়ার বন্দুক (স্মগ গান)-ও বাতিল হয়েছে। পাশাপাশি, গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে ফের জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা হল। গত কয়েক বছর ধরেই দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এই নীতি চালু করা হয়। জোড় তারিখের দিনে দিল্লিতে চলবে শুধু সেই সব গাড়ি, যার নম্বরের শেষ অঙ্ক জোড়। বিজোড় তারিখে চলবে সে সব গাড়ি, যার নম্বরের শেষ অঙ্ক বিজোড়। আপাতত ২০ তারিখ পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিয়ম। তার পর প্রয়োজন হবে কি না, বিবেচনা করে দেখবে প্রশাসন।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে আসার পরিবর্তে সোমবার দিল্লিতে দূষণের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেল বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার সকালে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ছিল (একিউআই) ৪৬০। সোমবার সকালে সেই মাত্রা ৪৮৮ ছুঁয়েছে। সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি দিল্লির আরকেপুরম (৪৬৬), পতপরগঞ্জ (৪৭১) এবং নিউ মোতি বাগ (৪৮৮) এলাকায়। টানা পাঁচ দিন ধরে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে দিল্লিবাসীর। পরিবেশবিদেরা বলছেন, দিল্লিতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে শুধু মানুষের উপরই প্রভাব পড়ছে না, পশুপাখিদের উপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।