৩০,০০০ জনের বেশি অভিযুক্তের লোকেশন, আইপি অ্যাড্রেস এবং কোন যন্ত্রে এ ধরনের কনটেন্ট দেখা হয়েছে, সে সম্পর্কে তথ্য এনসিআরবি পেয়েছে বলে দাবি। প্রতীকী ছবি।
শিশুদের উপর যৌন অত্যাচারের নানা ভিডিয়ো এবং নীল ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করছেন মধ্যপ্রদেশের ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দা। ওই বাসিন্দাদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিল্ড্রেন (এনসিএমইসি) নামে আমেরিকার একটি অসরকারি সংস্থা। এনসিএমইসি-র তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করা হয়েছে।
‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুদের নিয়ে বিকৃতরুচির নানা উপাদান অনলাইনে ডাউনলোড, আপলোড এবং শেয়ার করার অভিযোগে মধ্যপ্রদেশের ৪ হাজারের বেশি অভিযুক্তকে গ্রেফতারির তোড়জোড় শুরু করেছে পুলিশ। বাকি ২৬,০০০ অভিযুক্তের সম্পর্কে তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ৪ হাজারের বেশি অভিযুক্তের মধ্যে ইনদওরের বাসিন্দা ২,০০০ জন। অন্য দিকে, ভোপালে ১ হাজার এবং গোয়ালিয়র, ধার এবং খরগোনের মধ্যে রাজ্যের অন্য শহরগুলিকে ৫০০ থেকে ৬০০টি এমন কেস রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
এনসিএমইসি-র কাছ থেকে নিখোঁজ শিশুদের উপর যৌন অত্যাচার সম্পর্কিত তথ্য পেতে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) মউ স্বাক্ষর করেছিল। ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাতে অনুমোদন দেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর পর থেকে ‘সাইবারটিপলাইন রিপোর্ট’ নামে এ ধরনের তথ্য এনসিআরবি-র হাতে তুলে দিচ্ছে এনসিএমইসি।
আমেরিকার ওই সংস্থার কাছ থেকে সম্প্রতি ৩০,০০০ জনের বেশি অভিযুক্তের লোকেশন, আইপি অ্যাড্রেস এবং কোন যন্ত্রে এ ধরনের কনটেন্ট দেখা হয়েছে, সে সম্পর্কে তথ্য পেয়েছে এনসিআরবি। এর পর সেগুলি মধ্যপ্রদেশের সাইবার অপরাধদমন শাখার সদর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই তথ্যগুলির ভিত্তিতে পদক্ষেপের জন্য সেগুলি হাতে পেয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন পুলিশ সুপার।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যপ্রদেশ পুলিশের এক শীর্ষকর্তা ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে বলেছেন, ‘‘৪,০০০ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা অত্যন্ত কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ কাজ। ভিডিয়োগুলিতে যে শিশুদের দেখা গিয়েছে, তারা অন্য দেশের। সেগুলি নানা সমাজমাধ্যমে ডাউনলোড, আপলোড এবং শেয়ার করা হয়েছে।’’