NEET Exam

এনটিএ-র ব্যাখ্যা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে

প্রতি বছরই এমবিবিএস এবং বিডিএসের জন্য সর্বভারতীয়স্তরে এই প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়েজন করে জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা বা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪ ০৯:১৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মেডিক্যালের স্নাতক পাঠক্রমে ভর্তির যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা ‘ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট’ (আন্ডারগ্র্যাজুয়েট) বা ‘নিট’ (ইউজি)-তে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল, এ বার খোদ চিকিৎসকদের মধ্যে থেকেই। বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে। কেউ আবার, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণের পদক্ষেপও করেছে।

Advertisement

প্রতি বছরই এমবিবিএস এবং বিডিএসের জন্য সর্বভারতীয়স্তরে এই প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়েজন করে জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা বা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। চলতি বছরের ৫ মে দেশের ৫৭১টি শহরের ৪৭৫০টি কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে পরীক্ষার্থী ছিলেন প্রায় ২৪ লক্ষ। গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের দিনই ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে চিকিৎসক সংগঠনগুলি। ১৪ জুন নিট (ইউজি)-র ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও কেন তড়িঘড়ি ১০ দিন আগে করা হল, তা নিয়ে যেমন অভিযোগ উঠেছে, তেমনই সামগ্রিক ফলাফল নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে ‘এনটিএ’-র বিরুদ্ধে।

চলতি বছরে ওই পরীক্ষায় ৭২০ পূর্ণমান পেয়েছেন ৬৭ জন। এমনকি, হরিয়ানার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৬ জন সেই তালিকায় রয়েছেন। সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে উচ্চপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে এ রাজ্যের চিকিৎসক সংগঠন ‘সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, ‘‘আগে ২-৪ জন পূর্ণমান পেতেন। কিন্তু ৬৭ জন কী ভাবে ওই নম্বর পেলেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’’ আবার অনেকে ৭১৮, ৭১৯ নম্বর পেয়েছেন। চিকিৎসক সংগঠনগুলির দাবি, কোনও ভাবেই ওই নম্বর পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, ১৮০টি প্রশ্ন, এবং প্রশ্নপিছু ৪ নম্বর থাকে। উত্তর সঠিক হলে ৪ নম্বর মিলবে। আর একটি ভুল হলে ৫ নম্বর কাটা যাবে। তা হলে একটি প্রশ্ন ভুল করলে প্রাপ্ত নম্বর হয় ৭১৫। ৫ নম্বর গ্রেস (তা নিয়েও বিতর্ক উঠেছে) দেওয়া হলে তা দাঁড়ায় ৭২০।

Advertisement

এনটিএ-র তরফে দাবি করা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় এ বারে ২ লক্ষ ৮০ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী বেশি ছিলেন। যার ফলে পূর্ণমান প্রাপকের সংখ্যা বেড়েছে। আবার পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, ছত্তীসগঢ়ের বেশ কিছু কেন্দ্রে পরীক্ষা দেরিতে শুরু হওয়ার জন্য প্রায় দেড় হাজার পরীক্ষার্থীকে গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়েছে। যার কারণে প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর বেড়েছে। আবার এ যুক্তি-ও দেওয়া হয়েছে, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর নতুন পাঠ্যবই থেকে প্রশ্ন করা হলেও, অনেকে পুরনো পাঠ্যবই পড়েছেন। সেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেও ৫ নম্বর করে গ্রেস দেওয়ার ফলে ৪৪ জন পূর্ণমান পেয়েছেন। যদিও ‘এআইডিএসও’-র অফিস সম্পাদক শিবাশিস প্রহরাজ বলেন, ‘‘কী নিয়মে এবং কত দেরিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ায় গ্রেস নম্বর দেওয়া হল? এর কোনও মাপকাঠি নেই। পুরো বিষয়টি প্রহসনে পরিণত হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement