অস্ত্র হাতে আই-এমের নাগা আর্মি
ভারত সরকার এবং নাগা জঙ্গিদের শান্তি চুক্তির পথে ফের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এনএসসিএন আই-এমের জেদ। সাধারণত সব জঙ্গি সংগঠনই শান্তি চুক্তির পরে অস্ত্র সমর্পণ করে মূল স্রোতে আসে। কিন্তু নাগাল্যান্ডের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখা আই-এম দুই দশকব্যাপী আলোচনার পরে জেদ ধরেছে- তারা তাদের অস্ত্র ভাণ্ডার মোটেই হাতছাড়া করবে না।
সম্প্রতি এনএসসিএন ইউনিফিকেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আকাতো চপি সংগঠনের কাজ থেকে অব্যহতি নেন। কিন্তু জানান, তাঁর সঙ্গে থাকা পিস্তল, মেশিনগান, রাইফেলগুলি তাঁর বিপ্লবী সংগ্রামের স্মৃতি। তা তিনি হাতছাড়া করবেন না। এ বার আইজ্যাক-মুইভার নেতৃত্বাধীন আই-এম তাদের অস্ত্র ছাড়তে না চাওয়ায় জটিলতা চরমে।
উত্তর-পূর্বে সবচেয়ে বড় অস্ত্র ভাণ্ডার আই-এমের হাতেই রয়েছে। চিন থেকে কোটি কোটি টাকা অস্ত্র আনে তারা। অন্যান্য সংগঠনকে তা বেশি দামে বিক্রি করে। আই-এম অস্ত্র ভাণ্ডারে এত ধরণের ও এত পরিমাণে বিদেশি অস্ত্র রয়েছে- যা নিরাপত্তাবাহিনীকেও লজ্জা দিতে পারে বলে পুলিশের দাবি।
আরও পড়ুন: গুয়াহাটির ‘শক্তিশালী বোমা’ আসলে ছিল স্প্রে মেশিন, মুখ পুড়ল পুলিশের
এনএসসিএন আই-এমে সমান্তরাল সরকার ‘গভর্নমেন্ট অফ পিপলস রিপাবলিক অফ নাগালিম’-এর হাতে এখন নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল মিলিয়ে ৬০০০ স্থায়ী নাগা সৈন্য রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী ছাড়াও তাদের প্রশাসন, কর আদায় শাখা মিলিয়ে সহস্রাধিক কর্মী আছে। সংগঠন সূত্রে খবর, নাগা বাহিনীকে সরকারি করতে কেন্দ্র সাতটি ব্যাটালিয়ন গড়তে পারে। এমনকী সীমান্তে জঙ্গি গতিবিধি দমনে আসাম রাইফেলসের পাশাপাশি এই নাগা সেনাদেরও নিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছে আই-এম।