মোদীর বিমানের আকাশসীমা ব্যবহারে আপত্তি পাকিস্তানের। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রীর ভিভিআইপি বিমানকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান। তা নিয়ে এবার হাত তুলে নিল আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল সংগঠন (আইসিএও)-ও। তাদের যুক্তি, শুধুমাত্র যাত্রিবাহী বিমানের ক্ষেত্রেই তাদের নিয়মাবলী খাটে। রাষ্ট্রীয় বা সামরিক বিমানের নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া তাদের এক্তিয়ারের বাইরে।
আইসিএও আদতে রাষ্ট্রপুঞ্জের শাখা সংগঠন। সর্বসম্মতিতে শিকাগো সম্মেলনে ঠিক হওয়া নিয়মাবলী মেনে আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচলের তদারকি করে তারা। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান টানাপড়েন থেকে হাত তুলে নিয়েছে তারা।
ওই সংগঠনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘শিকাগো সম্মেলনের আওতায় শুধুমাত্র যাত্রিবাহী বিমানের ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তুলতে হস্তক্ষেপ করতে পারে আইসিএও। রাষ্ট্রীয় বিমান ও সামরিক বিমান সেই এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না।’’ এ ব্যাপারে তাদের যুক্তি, ‘‘যে বিমানে চেপে কোনও দেশের প্রধান যাত্রা করেন, সেটি ওই দেশের রাষ্ট্রীয় বিমান। তাই সেটি আইসিএও-র এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না।’’
আরও পড়ুন: মোদীর বিমানে আপত্তি, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভারতের
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দু’দিনের সৌদি সফরে যাবেন বলে ঠিক হয়। তাঁর বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হলে, নয়াদিল্লিকে ফিরিয়ে দেয় ইসলামাবাদ।
আরও পড়ুন: আমিই ৫ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছি, মহারাষ্ট্রে দড়ি টানাটানির মধ্যেই বললেন ফডণবীস, সেনা অনড়ই
এর আগে, ২০ সেপ্টেম্বর মার্কিন সফরে যাওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদীর বিমানকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়নি পাকিস্তান। ইউরোপ সফরে যাওয়ার আগে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি পাননি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। তাই বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আইসিএও-র দ্বারস্থ হয় ভারত। কিন্তু এ নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ আইসিএও।