দাউদ ও ছোটা শআকিল। —ফাইল চিত্র।
দাউদ ইব্রাহিম করাচিতে রয়েছে বলে জানিয়েও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান পাল্টে ফেলেছিল পাকিস্তান। দাউদের করাচিতে থাকার কথা এ বার অস্বীকার করল তার শাগরেদ ছোটা শাকিল। তার দাবি, তাদের উপর কারও মালিকানা নেই। কোনও দেশের সরকারের কাছেই জবাবদিহি করতে বাধ্য নয় তারা।
ফোনে সিএনএন-নিউজ ১৮-কে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে বুধবার এ কথা জানায় ছোটা শাকিল। তার কথায়, ‘‘কী দেখাবেন, না দেখাবেন, সেটা ভাবার দায়িত্ব আপনাদের। আমরা যখন করাচিতেই নেই, সে ক্ষেত্রে আমাদের উপর কারও মালিকানা কী ভাবে থাকে?’’
ছোটা শাকিল আরও বলে, ‘‘সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যা ইচ্ছে দেখানো যায়। যে কোনও বাংলো, গাড়িকে যে কারও বলে দেখানো যায়। দাউদের বাড়ি বলে আপনারা কী দেখাবেন, সেটা আপনাদের দায়িত্ব, আমাদের নয়। যা খুশি দেখানোর স্বাধীনতা রয়েছে আপনাদের।’’
সন্ত্রাসে মদত দেওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ এড়াতে, প্রায়শই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পাকিস্তান সরকার। অন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে তারা কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা লেখা থাকে তাতে। গত শনিবার ইসলামাবাদ থেকে সেইরকমই একটি বিজ্ঞপ্তি সামনে আসে। তাতে ঠিকানা-সহ দাউদ ইব্রাহিম, হাফিজ সইদ এবং মাসুদ আজহারের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: জেইই-নিট নিয়ে বিরোধীদের বৈঠকে না-ও থাকতে পারেন উদ্ধব, কেজরীরা
আরও পড়ুন: ‘আমি তো আগেই বলেছিলাম’, আরবিআই-এর রিপোর্ট তুলে কেন্দ্রকে নিশানা রাহুলের
১৯৯৩ সালে মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল চক্রী দাউদকে বহু বছর ধরে আশ্রয় দেওয়ার কথা অস্বীকার আসছে পাকিস্তান। তাই ওই বিজ্ঞপ্তি সামনে আসতেই আলোচনা শুরু হয় সর্বত্র। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি সাফাই দেওয়া হয় ইসলামাবাদের তরফে। বলা হয়, দাউদকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যে খবর ছড়িয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।