এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত পঙ্কজ, মণীশ আর নিশু।
হরিয়ানার রেওয়ারিতে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার পাঁচ দিন পরও অধরা রাজস্থানে কর্মরত সেনা জওয়ান-সহ তিন মূল অভিযুক্ত। যদিও চাপের মুখে যে টিউবওয়েলের পাশে এই গণধর্ষণ করা হয়েছিল, তার মালিককে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ।
এখনও মূল অভিযুক্তরা পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় ক্ষুব্ধ ধর্ষিতার পরিবার। শনিবারই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে পরিবারের কাছে গিয়েছিলেন হরিয়ানা সরকারের প্রতিনিধিরা। যদিও ‘টাকা নয়, বিচার চাই’ বলে ক্ষতিপূরণের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন ধর্ষিতার মা।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানে কর্মরত সেনা জওয়ান বেশ কিছুদিন ধরেই ছুটিতে। তাঁকে গ্রেফতার করতে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারতীয় সেনা। আসরে নেমেছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। তাঁদের চাপেই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে হরিয়ানা পুলিশ। শনিবারই তাঁরা গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে টিউবওয়েলের মালিককে।
আরও পড়ুন: চাকরি দেওয়ার নামে ফোনে ডেকে তরুণীকে ধর্ষণ দিল্লিতে
এর মধ্যেই বুধবারের ঘটনার আরও কিছু ভয়াবহ বিবরণ সামনে এসেছে। সংবাদমাধ্যম সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মাদক খাইয়ে প্রায় আট ঘন্টা ধরে তার উপর অত্যাচার চালায় প্রায় এক ডজন দুষ্কৃতী। লাগাতার ধর্ষণে তাঁর রক্তচাপ এতটাই কমে গিয়েছিল যে ভয় পেয়ে যায় দুষ্কৃতীরাও। যে কারণে পাশের লুখি গ্রাম থেকে এক চিকিৎসককেও ডেকে নিয়ে গিয়েছিল ধর্ষণকারীরা। সেই চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন রক্তচাপ নেমে গিয়েছে প্রায় পঞ্চাশে। এর পরই নির্যাতিতাকে রেহাই দেয় দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত স্ত্রীর পাশেই ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ
জানা গিয়েছে, একই গ্রামেই থাকত তিন মূল অভিযুক্ত পঙ্কজ, মণীশ আর নিশু। ধর্ষিতা ও তাঁর পরিবারকে লোকজনকে ভাল ভাবেই চিনত তারা।
রেওয়ারি সিভিল হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষিতার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনও সে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। জ্ঞান পুরোপুরি না ফেরা সত্ত্বেও তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে, এই অভিযোগ এনেছে ধর্ষিতার পরিবার। যা শোনার পর হরিয়ানা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে ওই কলেজছাত্রী সুস্থ হলে ফের বয়ান রেকর্ড করা হবে।
(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)