পটনায় এনডিএ-র নৈশভোজ। কিন্তু ঐক্য অধরা।
নামেই ঐক্য সম্মেলন। কিন্তু বিহারের এনডিএ-র বৈঠক কার্যত যেন হয়ে দাঁড়াল পর্বতের মূষিক প্রসব।
বিহারে চার শরিকের মধ্যে অন্যতম রাষ্ট্রীয় লোকসমতা পার্টির প্রেসিডেন্ট তথা কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা গরহাজির থাকলেন। কথা ছিল, আসন্ন লোকসভা ভোটের আসন বণ্টন নিয়ে শরিকরা ঘরোয়া পরিবেশে আলাপ আলোচনা করবেন। ব্যবস্থা ছিল নৈশভোজেরও। কিন্তু শেষপর্যন্ত শুধু খাওয়া-দাওয়াই হল। কথা আর কিছু হল না।
কিন্তু কেন এমন অবস্থা? এমনিতেই বিহারের এনডিএ শিবিরের ছন্নছাড়া অবস্থা। একের পর এক উপনির্বাচনে ধাক্কার পর সমস্ত শরিকরাই গলা চড়াচ্ছে। তার উপর তাদের নিজেদের মধ্যেকার সম্পর্ক যে ভাল, তা-ও বলা যাচ্ছে না। নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-এর দাবি, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নয়, নীতীশকে মুখ করেই বিহারে ভোটে লড়ুক এনডিএ। কিন্তু বৃহস্পতিবার ঐক্য বৈঠকের আগেই সুর চড়ান লোক সমতা পার্টির কার্যকরি সভাপতি নাগমণি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘নীতীশ যে এনডিএ ছেড়ে আরজেডি-র দিকে ভিড়বেন না, তার গ্যারান্টি কী রয়েছে?’’
আরও পড়ুন: ক্ষুব্ধ সনিয়া, প্রণবের ভাষণ শেষেই তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন কংগ্রেসের
স্বামীকে এটিএম কার্ড, খোয়াতে হল টাকা
শরিকি চাপানউতোরে ঐক্যের ছন্দ কেটে গিয়েছিল বহু আগেই। তার উপর বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে বৈঠকের আগেই লোক সমতা পার্টির তরফ থেকে বলা হয়, বিহারে এনডিএ-র মুখ হতে পারেন একমাত্র উপেন্দ্র কুশওয়াহা। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা ভোটে উপেন্দ্রকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর পর নিজে না গিয়ে উপেন্দ্র বৈঠকে পাঠান দলের এক বিধায়ককে। অন্যদিকে এনডিএ নিয়ে যে জেডি(ইউ)-তেও অসন্তোষ রয়েছে, তা সাংবাদিকদের সামনে স্পষ্ট করে দেন দলের নেতা শ্যাম রজক। তাঁর কথায়, ‘‘শুধুমাত্র বিহারে স্বার্থের কথা ভেবেই এনডিএ-তে রয়েছে জেডি(ইউ)।’’
রাজনৈতিক বিশ্লেযকদের ধারণা, শরিকি অসন্তোষের আঁচ পেয়েই হয়ত বৃহস্পতিবার আলোচনার রাস্তায় যায়নি বিজেপি। নৈশভোজে হাজির ছিলেন নীতীশ কুমার, রামবিলাস পাসোয়ান এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। জটিলতা সত্ত্বেও রবিশঙ্কর প্রসাদের কিন্তু দাবি, এনডিএ শক্তিশালী রয়েছে।