প্রতীকী ছবি।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ঝোঁক কমছে? উত্তরপ্রদেশে এপিজে আবদুল কালাম টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি (একেটিইউ)-র ছবিটা অন্তত এমনই আভাস দেয়। কারণ, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ওই বিশ্ববিদ্যালেয়র অধীনে ৩২৬টি কলেজে একজন পড়ুয়াও ভর্তি হননি। রাজ্যের সামগ্রিক চিত্রও মোটের উপর খুব একটা ভাল নয়। রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেও আসন ফাঁকা রয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: ভর্তির দাবি, অধ্যক্ষ ঘেরাও ১১ ঘণ্টা
উত্তরপ্রদেশে একেটিইউ-এর অধীনে মোট ৫৭৮টি ইঞ্জিনিয়ারিং রয়েছে। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে পঞ্চম দফার কাউন্সিলিং। তার মধ্যে মাত্র ২২টি কলেজে সব আসন ভর্তি হয়েছে। ১৩৪টি কলেজে কোথাও ন’জনের বেশি পড়ুয়া ভর্তি হয়নি। কোথাও সংখ্যাটা ১, কোথাও আবার ৯ জন। ৭৬টি কলেজে পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা ১১ থেকে ৫০। কু়ড়িটি কলেজে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা ৩০-এ কম। আর বাকি ৩২৬টি কলেজে এক জনও ভর্তি হয়নি।
আরও পড়ুন: রোগীর রক্তের নমুনা যাচ্ছে কোথায়, রহস্য মেডিক্যালে
তা হলে কি আদিত্যনাথের রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ঝোঁক কমছে? এটা মানতে রাজি নন স্বয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিনয় পাঠক। তা হলে ছাত্র-সংখ্যা কমছে কেন? উপচার্যের ব্যাখ্যা, ‘‘এখন ‘কী পড়ব’র সঙ্গে সঙ্গে ‘কোথায় পড়ব’র ব্যাপারটাও গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন পড়ুয়ারা। সেই ভাবনা থেকেই অনেক ছাত্রছাত্রী নিজেদের কলেজ এবং বিষয় বেছে নিচ্ছেন। অনেক জায়গায় তাই আসন ফাঁকা পড়ে থাকছে।’’ পাশাপাশি, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার বিষয়ে পড়ুয়াদের চাহিদা কমেনি বলেও দাবি করেছেন তিনি। বিনয় পাঠকের কথায়, ‘‘প্রতি বছর উত্তরপ্রদেশে থেকে ২৫-৩০ হাজার ছাত্রছাত্রী ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, এ বিষয় জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি।’’
আরও পড়ুন: প্রমোদের ক্যান্টিন উঠিয়ে ফুড কোর্ট! পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভে প্রাক্তনীরা
উপাচার্য জানাচ্ছেন, ১০০ শতাংশ আসন কখনই ভর্তি হয় না কোনও কলেজে । কিন্তু সেই ফাঁকা আসনের সংখ্যাটা যদি একেবারে ৩০ শতাংশ ছুঁইছুঁই হয়? বা শূন্য হয়? সদুত্তর নেই উপাচার্যের।