Narendra Modi

কোথায় মোদীর বাবার চায়ের দোকান? তথ্য নেই পশ্চিম রেলের কাছে

অনেক দিন আগের ঘটনা এটা। আমদাবাদ ডিভিশনের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও রেকর্ড নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২০ ১৪:৪৪
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ছোটবেলায় বডনগর স্টেশনের বাইরে বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে কাজ করতেন তিনি। গত ছ’বছরে বার বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে ঘুরেফিরে এসেছে সেই অভিজ্ঞতার কথা। কিন্তু তাঁর বাবার সেই চায়ের দোকান সম্পর্কে কোনও তথ্যই নেই নেই পশ্চিম রেলের কাছে। তাই এক ব্যক্তির আবেদনে ইতি টেনে দিল সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন।

বডনগর স্টেশনের বাইরে প্রধানমন্ত্রীর বাবা দামোদরদাস মোদীর চায়ের দোকান সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে বছর দুয়েক আগে পশ্চিম রেলের সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের কাছে আবেদন জানান হরিয়ানা আদালতের আইনজীবী তথা সমাজকর্মী পবন পারেখ। কোন সালে ওই দোকানটির লাইসেন্স মঞ্জুর হয় তা জানতে চান তিনি। সেই সংক্রান্ত কোনও নথি পাওয়া যাবে কিনা, তা-ও জানতে চান।

কিন্তু সেই আবেদনের কোনও জবাব না আসায় সরাসরি সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনে অ্যাপিল করেন তিনি। তারও কোনও জবাব না মেলায় সম্প্রতি দ্বিতীয় বার অ্যাপিল করেন। তাতেই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, অনেক দিন আগের ঘটনা এটা। আমদাবাদ ডিভিশনের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও রেকর্ড নেই। এ বছর ১৭ জুনের আগে পবন পারিকের কোনও অ্যাপিল তাঁর হাতে আসেনি জানিয়ে তাঁর দ্বিতীয় অ্যাপিলটি খারিজ করে দেন ইনফরমেশন কমিশনার অমিতা পাণ্ডবে। এই সংক্রান্ত কোনও রেকর্ড তাঁদের কাছে নেই জানিয়ে ইনফরমেশন কমিশনকে একটি হলফনামাও জমা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রশান্তের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা গেল নতুন বেঞ্চে​

শৈশবে বাবার চায়ের দোকানে কাজ করার পাশাপাশি, বডনগর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এবং ট্রেনে প্রধানমন্ত্রী চা বিক্রি করতেন বলেও শোনা যায়। তা যাচাই করতে ২০১৫ সালে তথ্য জানার আইনে আবেদন জমা দেন কংগ্রেস সমর্থক হিসেবে পরিচিত বিশিষ্ট সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালাও। স্টেশন চত্বর ও ট্রেনে চা বিক্রির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়েছিল কি না, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান তিনি। কিন্তু ওই সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই বলে সেইসময় তাঁকে জানিয়ে দেন রেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে ফের খুন হলেন এক সাংবাদিক, পুলিশ মিথ্যে গল্প সাজাচ্ছে, অভিযোগ পরিবারের​

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ জমা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তা নিয়ে ২০১৬-য় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে তথ্য জানার আইনেই আবেদন জানান পবন পারেখ। সেই সময়ও তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে সোহরাবউদ্দিন এনকাউন্টার মামলায় অমিত শাহের অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে আবেদন জানালে, সেখান থেকেও খালি হাতেই ফিরতে হয় তাঁকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement