National News

সিয়াচেনে পাক যুদ্ধবিমান? সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি, বলল ভারতীয় বায়ুসেনা

সিয়াচেনের খুব কাছে কি পাক বিমানবাহিনীর ফাইটার জেট উড়তে দেখা গিয়েছে? জল্পনা ঘিরে তোলপাড় পাকিস্তানি মিডিয়ায়। পাক বিমানবাহিনীর প্রধান সোহেল আমন নিজেই নাকি একটি মিরাজ ফাইটার জেট উড়িয়ে আজ সিয়াচেন হিমবাহের কাছে এসেছিলেন, বলছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের একাংশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৭ ১৫:১৬
Share:

পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেনে সারা বছর বিপুল উপস্থিতি ভারতীয় বাহিনীর। কোনও পাক ফাইটার জেট সিয়াচেনের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে পারেনি বলে জানাচ্ছে বাহিনী। —ফাইল চিত্র।

সিয়াচেনের খুব কাছে কি পাক বিমানবাহিনীর ফাইটার জেট উড়তে দেখা গিয়েছে? জল্পনা ঘিরে তোলপাড় পাকিস্তানি মিডিয়ায়। পাক বিমানবাহিনীর প্রধান সোহেল আমন নিজেই নাকি একটি মিরাজ ফাইটার জেট উড়িয়ে আজ সিয়াচেন হিমবাহের কাছে এসেছিলেন, বলছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের একাংশ। এই খবরে স্বাভাবিক কারণেই ভারতেও প্রাথমিক ভাবে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে সে জল্পনা নস্যাৎ করা হয়েছে। পাক যুদ্ধবিমান পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশেই উড়েছে, ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘিত হয়নি, জানিয়েছে বায়ুসেনা।

Advertisement

মঙ্গলবারই ভারতীয় সেনা জানিয়েছিল, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক পাক বাঙ্কার। জঙ্গি অনুপ্রবেশে সাহায্য করছিল পাকিস্তানের ওই সামরিক চৌকিগুলি, তাই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই সেগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করে জানিয়েছিল সেনা। পাকিস্তান গতকাল ভারতের সে দাবি উড়িয়ে দেয়। পাক বাহিনীর তরফে জানানো হয়, ভারত এমন কোনও হামলা চালায়নি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পাক মিডিয়া জানাল, ভারত-পাক সীমান্তের কাছাকাছি থাকা এয়ারবেসগুলিকে সক্রিয় করে তুলেছে পাক বিমানবাহিনী। পাকিস্তানের ‘ওয়ক্ত নিউজ’ এই খবর প্রকাশ করেছে। সেখানে আরও জানানো হয়েছে, আজ পাক বিমানবাহিনীর বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান সিয়াচেন হিমবাহের খুব কাছে মহড়া দিয়েছে। পাকিস্তানের এয়ার চিফ মার্শায় সোহেল আমন নিজেও সেই মহড়ায় অংশ নেন এবং একটি মিরাজ যুদ্ধবিমান নিয়ে আকাশে ওড়েন বলে পাক মিডিয়ার দাবি।

পাক সংবাদমাধ্যমে এই খবর ছড়ানোর পর বিবৃতি দেয় ভারতীয় বায়ুসেনাও। বাহিনীর তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, পাকিস্তানের কোনও যুদ্ধবিমান ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি। সিয়াচেনের আকাশের খুব কাছাকাছি পাক যুদ্ধবিমান চলে এসেছিল, এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়।

Advertisement

পাক বিমানবাহিনীর প্রধান বুধবার যে বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন, সেই স্কার্দু বিমানঘাঁটি সিয়াচেন হিমবাহ থেকে অনেক দূরে।

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যবর্তী নিয়ন্ত্রণরেখা জম্মু-কাশ্মীরের উত্তরাংশে পৌঁছে সিয়াচেন হিমবাহের কাছেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ১৯৮০-র দশকে সিয়াচেনের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছিল। সেই থেকেই সুউচ্চ হিমবাহের উপর সারা বছর মোতায়েন থাকে ভারতীয় বাহিনী। পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবেও পরিচিত এই সিয়াচেন।

আরও পড়ুন: গুঁড়িয়ে দিয়েছি বাঙ্কার, যোগ্য জবাব পাকিস্তানকে, বলছে সেনা

পাক বিমানবাহিনীর প্রধান সোহেল আমন বুধবার স্কার্দু বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেন বলে জানা গিয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওই বিমানঘাঁটিতে ছোটখাট মহড়াও হয়। সোহেল আমন নিজেও একটি মিরাজ যুদ্ধবিমান ওড়ান বলে খবর। কিন্তু গোটা কর্মসূচিই স্কার্দুর আকাশে সীমাবদ্ধ ছিল, সিয়াচেনের দিকে কোনও পাক যুদ্ধবিমান আসেনি বলে ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে।

সোহেল আমনের নির্দেশে পাক বিমানবাহিনীর সীমান্তবর্তী ঘাঁটিগুলিকে সক্রিয় করে তোলা হয়েছে বলেও পাক মিডিয়ার দাবি। কিন্তু তাতেও উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মনে করছে। ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের যে কোনও চেষ্টা মুহূর্তে রুখে দিতে ভারতীয় বাহিনী প্রস্তুত, বলছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement