হরি নারায়ণ সাকার ওরফে ভোলে বাবা। ফাইল চিত্র।
ভাগ্যকে কেউ এড়াতে পারেন না। যাঁর যখন মৃত্যু লেখা আছে, কোনও কিছুই তা আটকাতে পারবে না। এক সাক্ষাৎকারে হাথরসের পদপিষ্টে মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে এমনই দাবি করলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু হরি নারায়ণ সাকার ওরফে ভোলে বাবা। তাঁর কথায়, “ওটা হওয়ারই ছিল। কেউ আটকাতে পারত না। এ জগতে এসেছ যখন, এক দিন ছেড়ে যেতেই হবে।” ভোলে বাবার নতুন এই ভিডিয়ো এবং হাথরসের ঘটনাকে ভাগ্যের সঙ্গে তুলনা টানতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ভোলে বাবার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশিত সেই ভিডিয়োতে হাথরসের ঘটনা প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। হাথরসের পদপিষ্টের ঘটনা যে অবধারিত ছিল, সেই দাবি করার পাশাপাশি এই ঘটনার নেপথ্যে যে ‘ষড়যন্ত্র’ ছিল, জোর গলায় সেই দাবিও করতে শোনা গিয়েছে ভোলে বাবাকে।
এই ঘটনার নেপথ্যে যে ‘ষড়যন্ত্র’ রয়েছে, এর আগেও দাবি করেছিলেন ভোলে বাবা। আবারও সেই একই তত্ত্ব টেনে আনলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, তাঁর সংস্থাকে কালিমালিপ্ত করার একটা অপচেষ্টা চলছে বলেও দাবি করেছেন ভোলে বাবা। তবে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন। ভোলে বাবার কথায়, “আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) এবং বিচার বিভাগীয় কমিশনের উপর। আমার প্রত্যেক অনুরাগীও এটাই বিশ্বাস করেন যে, এক দিন সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবেই।” ভোলে বাবা আরও দাবি করেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই ঘটনার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ খুব শীঘ্রই খুলে দেব।”
পদপিষ্টের ঘটনার ১৫ দিন পর বুধবার কাসগঞ্জের বাহাদুর নগরে আশ্রমে গিয়েছিলেন ভোলে বাবা। এমনই জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী এ পি সিংহ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বাবা আশ্রমে এসেছেন। এখানেই থাকবেন। তিনি অন্য একটি আশ্রমে ছিলেন। ভোলে বাবা কখনওই কারও বাড়ি, হোটেল বা অন্য দেশে যাননি।” গত ২ জুলাই উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ভোলে বাবার আয়োজিত ‘সৎসঙ্গে’ পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ১২১ জনের মৃত্যু হয়।