—ফাইল চিত্র।
সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ দাবি করাটা কোনও মৌলিক অধিকার নয় বলে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চ আরও বলেছে, কোনও আদালতই কোনও রাজ্যের সরকারকে তফসিলি জাতি ও জনজাতির জন্য সংরক্ষণ কার্যকর করার নির্দেশ দিতে পারে না।
বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তের বেঞ্চ আজ বলেছে, সংরক্ষণ দেওয়া-না দেওয়া কিংবা পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের বন্দোবস্ত করার বিষয়টি একেবারেই রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকার বাধ্যও নয়। সংরক্ষণ প্রয়োজন কি না, তা রাজ্যই ঠিক করবে।
কোর্ট অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি ও জনজাতির মানুষদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে চাইলে রাজ্যকে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেই এগোতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে যে কোনও গোষ্ঠীর যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নেই— সেই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে তা আদালতে জমা দিতে হবে, যাতে সংরক্ষণ নীতিকে কেউ চ্যালেঞ্জ করলে ওই পরিসংখ্যান দেখানো যায়। সংরক্ষণ না-দিলে এর প্রয়োজন নেই। রাজ্য তার সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে বাধ্যও নয়। কোর্টের বক্তব্য, সংবিধানের ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলা রয়েছে। কিন্তু এটি রাজ্য সরকারের বিবেচনাসাপেক্ষ।
আরও পড়ুন: মাহিন্দার সঙ্গে মোদীর কথা, নজর শ্রীলঙ্কায়
উত্তরাখণ্ড সরকারের পূর্ত দফতরে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি ও জনজাতির জন্য সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ে একগুচ্ছ মামলার শুনানিতে আজ এই রায় দেয় সর্বোচ্চ আদালত। রাজ্য সংরক্ষণ না-করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সরকারকে আগে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি ও জনজাতির প্রতিনিধিত্বের পরিসংখ্যান দেখে তার পরে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে উত্তরাখণ্ডে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের শূন্য পদগুলিতে শুধুমাত্র তফসিলি জাতি-জনজাতির প্রতিনিধিদেরই নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছিল হাইকোর্ট। দু’টি নির্দেশই ‘অযৌক্তিক’ বলে খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।