Bihar

সুপারের ঘরে টাঙানো মশারি, মেঝেতে রোগীরা, রাতদুপুরে বিহারে হাসপাতালে হঠাৎ তেজস্বী

তিনটি হাসপাতাল ঘুরে তেজস্বী বলেন, “হাসপাতালগুলিতে কোনও অভিজ্ঞ চিকিৎসক নেই। চিকিৎসার আধুনিক সাজসরঞ্জামও অমিল। হাসপাতালগুলিতে নিয়মিত সাফাই হয় না। সব ব্যাপারেই অবহেলার দিকটি স্পষ্ট।”

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

পটনা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:১০
Share:

হাসপাতালে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। ছবি ভিডিয়ো থেকে প্রাপ্ত।

মশারি খাটিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার তোড়জোড় করছেন সরকারি হাসপাতালের আধিকারিক। আচমকাই বিহারের পটনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, যিনি নীতীশ কুমার মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বটে। সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ আরজেডি নেতা। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে দ্রুত পদক্ষেপ করারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে পটনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে তিনি চিকিৎসক এবং রোগীর পরিজনেদের সঙ্গে কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন রোগীর আত্মীয়রা। তাঁরা তেজস্বীকে জানান, রাতে হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক থাকেন না। তেজস্বী পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান, রোগীদের হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে থাকতে দেখে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছেন। হাসপাতালের ভিতর যত্রতত্র ময়লা পড়ে থাকার এবং কুকুর-বিড়াল ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্যও তাঁর নজরে এসেছে বলে জানিয়েছেন তেজস্বী। তেজস্বী পরে গার্ডনার হাসপাতাল এবং গারদানিবাগ হাসপাতাল পরিদর্শনেও যান।

তিনটি হাসপাতাল ঘুরে তেজস্বী বলেন, “হাসপাতালগুলিতে কোনও অভিজ্ঞ চিকিৎসক নেই। চিকিৎসার আধুনিক সাজসরঞ্জামও অমিল। হাসপাতালগুলিতে নিয়মিত সাফাই হয় না। সব ব্যাপারেই অবহেলার দিকটি স্পষ্ট।” একই সঙ্গে তেজস্বী আশ্বস্ত করে জানান, তাঁদের সরকার রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল দ্রুত ফিরিয়ে আনবে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলির প্রশাসকদের তলব করেছেন তেজস্বী। হাসপাতালগুলির বেহাল অবস্থা বোঝাতে তেজস্বী বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো হাসপাতালে আসেন। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে রাজ্যের আগের সরকার যে মিথ্যা দাবি করত, তা ধরা পড়ে গিয়েছে। আমাদের সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফিরিয়ে আনবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement