ডিমাপুর নিয়ে চুপ নাগাল্যান্ড বিধানসভা

ডিমাপুর-কাণ্ড নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে লোকসভা, রাজ্যসভা, পড়শি অসমের বিধানসভায়। কিন্তু নাগাল্যান্ড বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন এ নিয়ে কোনও কথাই হল না। চুপ থাকল সরকার, বিরোধী পক্ষ! শাসক জোট ‘ড্যান’-এর বিভিন্ন নীতি ও দুর্নীতি নিয়ে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস বিভিন্ন সময় সরব হয়েছে। শাসক জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর, এ দিন রাজ্য সরকারের এত বড় গাফিলতি নিয়ে কোনও শব্দ করলেন না কংগ্রেস বিধায়করা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৫ ০৪:৩১
Share:

ডিমাপুর-কাণ্ড নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে লোকসভা, রাজ্যসভা, পড়শি অসমের বিধানসভায়। কিন্তু নাগাল্যান্ড বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন এ নিয়ে কোনও কথাই হল না। চুপ থাকল সরকার, বিরোধী পক্ষ!

Advertisement

শাসক জোট ‘ড্যান’-এর বিভিন্ন নীতি ও দুর্নীতি নিয়ে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস বিভিন্ন সময় সরব হয়েছে। শাসক জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর, এ দিন রাজ্য সরকারের এত বড় গাফিলতি নিয়ে কোনও শব্দ করলেন না কংগ্রেস বিধায়করা। একই পথে হাঁটলেন এনপিএফ অন্দরমহলে মুখ্যমন্ত্রী টি আর জেলিয়াংয়ের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারাও। কার্যত বিনা বাধায় ১ হাজার ২৫২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী জেলিয়াং।

অধিবেশনের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ডিমাপুর কাণ্ড বিচারাধীন বিষয়। এ নিয়ে বিবাদ তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারে।”

Advertisement

এনপিএফ সূত্রে খবর, সময় পেলেও জেল ভাঙা রুখতে না পারায় পদ থেকে সরানো হতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াই প্যাটনকে। মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথা মেনে নেন জেলিয়াংও। কংগ্রেস সূত্রে খবর, আস্থা ভোটে মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থনের পর তাদের সরকারে যোগ দেওয়া কার্যত চূড়ান্ত। সে ক্ষেত্রে বিরোধীশূন্য নাগাল্যান্ড সরকারের নতুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হতে পারেন বর্তমান বিরোধী দলনেতা টোখেহো ইয়েপথোমি। মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “নাগা রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যে দলাদলি না করে সকলে এক জোট থাকাই ভাল।”

গত কাল রাজভবনে নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালকৃষ্ণ আচার্য বলেছেন, ডিমাপুরের ঘটনার পিছনে কোনও মহলের মদত ছিল। শুধু ছাত্রছাত্রীরা এ ভাবে জেল ভাঙার কর্মসূচি করতে পারে না। তাঁর মন্তব্য, “ওই ঘটনায় সামিল ছাত্র সংগঠনগুলির নেতৃত্বকে মনে রাখতে হবে, সমাজের প্রতি তাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।” রাজ্যপাল মেনে নেন, পুরো ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতা প্রকাশ্যে এসেছে। এতে নাগাদের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement