প্রতীকী ছবি।
• প্রশ্ন: টুইটার বিশ্বের প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। কী ভাবে সেখানে হ্যাকার হানা হয়?
উত্তর: কোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা সিস্টেমই ১০০ শতাংশ নিরাপদ নয়। হ্যাকারেরা প্রযুক্তিগত জ্ঞানে বড় বড় ইঞ্জিনিয়ারদের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে রয়েছেন। ওই সিস্টেমে ঢুকে ফাঁক খুঁজে বার করেন তাঁরা এবং নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ঢুকে গড়বড় করে দেন।
• এই হামলাকারীরা কারা?
এঁদের আসল পরিচয় জানা কঠিন। তবে এঁদের ‘হ্যাকটিভিস্ট’ বলা হয়। কারণ, এঁদের অনেকেই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করেন। কোনও নির্দিষ্ট মতাদর্শের অনুগামীও রয়েছেন।
• কেন এই ধরনের হামলা?
উদ্দেশ্য কখনও নিজেদের মতাদর্শকে লোকের সামনে তুলে ধরা, কখনও বিপক্ষকে অপদস্থ করা। তবে নেটবন্দি করে মুক্তিপণ আদায় এবং বিখ্যাত মানুষের প্রোফাইল হ্যাক করে জনতাকে বিভ্রান্ত করে টাকা লুটে নেওয়ার লক্ষ্যও থাকে।
আরও পড়ুন: মোদীর টুইটার হ্যান্ডলেই হানা দিল হ্যাকার
• এই টাকা নেওয়ার পদ্ধতি কী?
হ্যাকারেরা অর্থ লুটে নেওয়ার জন্য বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি (বৈদ্যুতিন মুদ্রা, লেনদেন ভার্চুয়াল) ব্যবহার করে। এগুলি এক-একটি ইউনিট হিসেবে নির্দিষ্ট দরে কিনতে হয়। ডার্ক ওয়েবে লেনদেনের ক্ষেত্রেও বিটকয়েন ব্যবহার করা হয়। কড়া সুরক্ষাবিধির ফলে লেনদেনের তথ্য খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
• ভারতে কি বিটকয়েন বৈধ?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০১৮ সালে বিটকয়েনের উপরে যে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল তা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করেছে। তবে বিটকয়েন নিয়ে সরকারি নীতি তৈরি হয়নি। দেশের মুদ্রা উৎপাদন ও বণ্টনে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ থাকলেও বিটকয়েনে নেই।
• এই ধরনের হ্যাকার হানা কি বাড়তে পারে?
কোভিড পর্বে বহু মানুষ অতিরিক্ত নেটনির্ভর। তবে ইন্টারপোলের একটি রিপোর্ট বলছে, আমজনতার বদলে বড় বড় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং তাদের শীর্ষকর্তাদের হামলার শিকার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
• সাইবার নিরাপত্তায় আমজনতার করণীয়?
প্রথমত, মোবাইলে বা কম্পিউটারে অজানা কিংবা সন্দেহজনক লিঙ্ক বা ফাইল ডাউনলোড করা চলবে না। দ্বিতীয়ত, অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা মোবাইলের কোন কোন ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের অনুমতি চাইছে তা দেখতে হবে। বিনা প্রয়োজনে অ্যাপকে মোবাইল নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দেবেন না। তৃতীয়ত, অ্যাপ ডাউনলোডের আগে ভাল ভাবে যাচাই করা প্রয়োজন। চতুর্থত, কেউ ব্যাঙ্ক বা ওয়ালেট সংস্থার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে লিঙ্ক ডাউনলোড করতে বললেও তা করবেন না। সে ক্ষেত্রে হ্যাকার মোবাইলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে এবং পাসওয়ার্ডের মতো গোপনীয় তথ্য চুরি করতে পারে। পঞ্চমত, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করবেন না।