Sajjan Kumar

‘সাধারণ মামলা নয়’, শিখ দাঙ্গায় দোষী সজ্জন কুমারের জামিনের আর্জি খারিজ

১৯৮৪-র শিখ দাঙ্গায় দিল্লির রাজনগরে একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সজ্জন কুমার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৪৭
Share:

সজ্জন কুমারের জামিনের আর্জি খারিজ। —ফাইল চিত্র।

শিখ দাঙ্গা মামলায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের জামিনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন সজ্জন কুমার। কিন্তু এটা কোনও ছোটখাটো মামলা নয়, তাই তাঁকে জামিন দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।

শুক্রবার শীর্ষ আদালতে সজ্জন কুমারের হয়ে সওয়াল করছিলেন আইনজীবী বিকাশ সিংহ। তিনি জানান, বিগত ২০ মাস ধরে জেলবন্দি ৭৪ বছরের সজ্জন কুমার। বার্ধক্যজনিত কারণে এবং শারীরিক অসুস্থতার জেরে ১৬ কেজি ওজন কমে গিয়েছে তাঁর। হাসপাতালে রেখেই তাঁর চিকিৎসা হওয়া উচিত।

কিন্তু দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের হয়ে আদালতে যিনি প্রতিনিধিত্ব করছিলেন, সেই আইনজীবী এইচ এস ফুলকা বিরোধিতা করেন সজ্জন কুমারের জামিনের। তিনি জানান, হাসপাতালে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেয়ে গিয়েছেন সজ্জন কুমার।

Advertisement

আরও পড়ুন: নজরে লাদাখ, আজ মস্কোয় মুখোমুখি রাজনাথ ও চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী​

শেষমেশ, প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডে বলেন, ‘‘দুঃখিত। আমরা পক্ষপাতিত্ব করি না। এই আবেদন খারিজ করা হল।’’ আদালত আরও বলে, ‘‘এটা কোনও ছোটখাটো মামলা নয়। জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়।’’ আদালত আরও জানায়, সজ্জন কুমারের ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক। তাঁকে হাসপাতালে রাখা প্রয়োজন, এমনটা কোথাও বলা নেই। তাই আর হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই তাঁর।

১৯৮৪-র শিখ দাঙ্গায় দিল্লির রাজনগরে একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুনের ঘটনায় সজ্জন কুমারের নাম উঠে আসে। ১ নভেম্বর সেখানকার একটি গুরুদ্বারে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও নাম জড়ায় তাঁর। সেইসময় রাজনগরের সাংসদ ছিলেন সজ্জন কুমার। ২০১৩ সালে নিম্ন আদালতে সেই মামলায় রেহাই পেয়ে গেলেও, ২০১৮ সালে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং যাবজ্জীবনের সাজা শোনায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: রিয়ার বাড়িতে এনসিবি-র হানা, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক শৌভিক ও স্যামুয়েল​

হাইকোর্টের সেই রায়কেও শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন সজ্জন কুমার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে আদালতের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই যাবতীয় মামলার শুনানি চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি নিয়ে শুনানি হবে বলে এ দিন জানায় আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement