নীতীশ কুমার। ফাইল ছবি
নয়াদিল্লিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-র সঙ্গে বৈঠক সোমবার। তার আগেই দলের জাতীয় কর্মসমিতি-র বৈঠকে বিজেপি শিবিরের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন জনতা দল (ইউনাইটেড) সুপ্রিমো নীতীশকুমার। এবার কার্ড হিসেবে সামনে নিয়ে এলেন সাম্প্রদায়িকতা ইস্যুটিকেই। জনতা দল (ইউনাইটেড) সাফ জানাল, সাম্প্রদায়িকতা-অপরাধ-দুর্নীতি, এই তিনটি প্রশ্নে কোনও আপোসে যাবে না তারা। এজন্য বিহারে সরকার ছাড়তেও আপত্তি নেই।
এই মুহূর্তে বিহারে বিজেপি-র সঙ্গে জোট সরকার নীতীশের। যদিও দুপক্ষের আসল নজর, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আসন সমঝোতা। সেই বোঝাপড়া শুরু করতেই সোমবার অমিত শাহ-র ডাকে নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসছেন নীতীশ। তার আগে নিজের দর বাড়িয়ে রাখতেই এই বার্তা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সাম্প্রদায়িকতা ইস্যুতে নীতীশ সামনে আনছেন জয়ন্ত সিংহ ও গিরিরাজ সিংহ, বিজেপির এই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিহারের সাম্প্রতিক কার্যকলাপকেই। খুনের দায়ে অভিযুক্ত গো-রক্ষকদের মালা পরিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিংহ। অন্যদিকে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দায়ে অভিযুক্ত বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কর্মীদের সঙ্গে নওয়াদা জেলে দেখা করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গিরিরাজ। শুধু এই দু’টি ঘটনা নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট সরকার তৈরির পর গত এক বছরে বিহারে মোট ২০০টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বেধেছে। যা নিয়ে ফুঁসছেন বিহারের সংখ্যালঘুরা। তাঁদের আস্থা ফিরে পেতেও নীতীশের এই হুঙ্কার বলে মনে করা যেতেই পারে।
আরও পড়ুন: ভুল দিশায় বড়সড় লাফ দিয়েছে ভারত : অমর্ত্য সেন
একইসঙ্গে দুর্নীতির জন্যই তাঁকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মহাজোট থেকে। এরকমই সাফাই দিচ্ছে জনতা দল (ইউনাইটেড)। নীতীশের দাবি, কংগ্রেসকে বারবার বলা সত্ত্বেও লালুপ্রসাদের দুর্নীতি নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছিল না। কংগ্রেসের জন্যই তাঁকে ছাড়তে হয়েছিল মহাজোট।
তবে সবকিছুই আগামী লোকসভার আগাম হিসেব-নিকেশকে মাথায় রেখেই। আসন সমঝোতা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, বিজেপির তরফে তাঁর কাছে কোনও প্রস্তাব এখনও আসেনি। প্রস্তাব এলে তারপরেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন। কংগ্রেসকেও অবশ্য হিসেবের বাইরে রাখছেন না জেডিইউ। দুর্নীতির প্রশ্নে লালুবিরোধী স্টান্স মজবুত করলে, তবেই কংগ্রেসকে নিয়ে তিনি ভাবতে রাজি। জানিয়েছেন নীতীশ।