দুষ্কৃতীদের গুলিতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু। —প্রতীকী চিত্র।
মণিপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিহার। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ঘটনার নিন্দা করে শোকার্ত পরিবারের কাছে দ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে দিতে তাঁর সরকারের অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন। তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণের দুই লক্ষ টাকা ছাড়াও সরকারি কোনও প্রকল্প থেকে কী ভাবে পরিবারগুলিকে সাহায্য করা যায়, তা-ও দেখতে বলেছেন তিনি।
মণিপুরের একটি নির্মাণ সংস্থায় কাজ করছিলেন ১৮ বছরের সোনালাল কুমার ও ১৭ বছরের দশরথ কুমার। শনিবার কর্মস্থল থেকে সাইকেলে ভাড়াবাড়িতে ফেরার সময়ে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা তাঁদের গুলি করে। এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করে বিহারের শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার সিংহ বলেন, ‘‘ময়না তদন্তের পরে দেহগুলি বাড়িতে ফেরানোর জন্য তাঁরা কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাঁর দফতরের এক কর্তাকে সোনালাল ও দশরথের বাড়িতে পাঠিয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, বিহারের শাসক জোটে রয়েছে বিজেপি। মণিপুরেও বিজেপিরই সরকার। ফলে বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে।
মণিপুরের বিভিন্ন অপরাধ এবং হিংসার নেপথ্যে মাদকের কারবার জড়িত বলে দাবি করে আসাম রাইফেলস বলেছে, গত পাঁচ বছরে তারা রাজ্যের ৬২২৮ একর জমিকে আফিম চাষের কবল থেকে মুক্ত করেছে। ২০২০ সালে তারা প্রথম বছরে ১৬৯৫ একর এলাকার আফিম চাষ নষ্ট করেছিল। প্রতি বছর এই অভিযানে সাফল্য আসছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারও আফিম চাষ ধ্বংসের জন্য কৌশল নিরূপণ করছে। ফলে এখন নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, মণিপুর পুলিশ এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান হচ্ছে।