বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। —ফাইল ছবি।
ইজ়রায়েলকে মদত। ওয়াকফ বিল। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। কেন্দ্রে মোদী সরকারের শরিক হলেও একের পর এক বিষয়ে বিজেপির থেকে জেডিইউ-এর ভিন্ন অবস্থান স্পষ্ট করছিলেন দলের প্রবীণ নেতা কে সি ত্যাগী। তাতে বারবার বিজেপিকেই অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছিল। এনডিএ-র মধ্যে বিজেপির সঙ্গে শরিকদের ভিন্ন অবস্থান প্রকাশ্যে আসছিল। পরিস্থিতি সামলাতে বিজেপির তরফে শরিকদের বোঝানো হচ্ছিল, অন্দরের মতান্তর যেন বাইরে না আসে। এই টানাপড়েনের মধ্যেই জেডিইউ-এর জাতীয় মুখপাত্রের পদ থেকে কে সি ত্যাগী ইস্তফা দিলেন।
দলের সভাপতি তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে চিঠি লিখে ত্যাগী জানিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত কারণ’-এ তিনি এই পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। জেডিইউ সূত্রের খবর, নীতীশই ত্যাগীকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এর পিছনে বিজেপির চাপ রয়েছে বলে জেডিইউ নেতারা মানতে রাজি নদলের সভাপতি তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে চিঠি লিখে ত্যাগী জানিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত কারণ’-এ তিনি এই পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। জেডিইউ সূত্রের খবর, নীতীশই ত্যাগীকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এর পিছনে বিজেপির চাপ রয়েছে বলে জেডিইউ নেতারা মানতে রাজি নন। তাঁদের যুক্তি, আগামী বছর বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে নীতীশ ভোটে জিতে ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হতে চান। ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বিহারের জন্য যতখানি সম্ভব কেন্দ্রীয় প্রকল্প, উন্নয়নে অর্থসাহায্য আদায় করে নেওয়াটাই নীতীশের লক্ষ্য। এই মুহূর্তে তিনি বিজেপির সঙ্গে কোনও রকম বিবাদে যেতে চাইছেন না। কেন্দ্রে বিজেপির সঙ্গে সমন্বয় রাখার দায়িত্ব নীতীশ পুরোপুরি তাঁর দলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিংহ ও সংসদীয় দলের নেতা সঞ্জয় ঝা-এর উপরে ছেড়ে দিয়েছেন। সেখানে বারবার কে সি ত্যাগী সরকার-বিরোধী সুর নেওয়ায় সমন্বয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তিনি ইস্তফা দিতেই তাঁর জায়গায় রাজীব রঞ্জন প্রসাদকে দলের জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ করেছেন নীতীশ।
তৃতীয় মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই ত্যাগী জেডিইউ-এর হয়ে জাতগণনার দাবি তুলেছিলেন। তার পরে ওয়াকফ বিল, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে দলের ভিন্ন অবস্থানের কথা তিনিই জানান। সম্প্রতি তিনি কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির সাংসদদের সঙ্গে একযোগে ইজ়রায়েলের নিন্দা করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন। তাতে প্যালেস্টাইনে গণহত্যার জন্য ইজ়রায়েলের নিন্দা করা হয়েছিল। ভারত ইজ়রায়েলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ জোগানো বন্ধ করুক বলে দাবি করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ভারত কোনও ভাবেই ইজ়রায়েলের গণহত্যায় যুক্ত থাকতে পারে না।
বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, জাতগণনা, ওয়াকফ বিল, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো বিষয়ে কোনও শরিক দলের ভিন্ন অবস্থান থাকতেই পারে। কিন্তু বিদেশনীতির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের শরিক দল ভিন্ন অবস্থান নিলে তা গুরুতর বিষয়। সেটা শরিকদের বুঝতে হবে। জেডিইউ নেতাদের দাবি, এই সব ক্ষেত্রে ত্যাগী দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা না বলেই নিজের মতো অবস্থান নিচ্ছিলেন।
ভাঙল দুর্গ-প্রাচীর
বেঙ্গালুরু, ১ সেপ্টেম্বর: গত দু’দিন অবিরাম বৃষ্টির জেরে কর্নাটকের কালবুর্গী জেলার সেদাম তালুকের মালখেড় দুর্গের প্রাচীরের একাংশ ভেঙে পড়েছে। রাষ্ট্রকূট রাজবংশের আমলে নির্মিত দুর্গটির বহু বছর ধরে সংস্কার হয়নি। সংবাদ সংস্থা