নরেন্দ্র মোদী ও নীতীশ কুমার— ফাইল চিত্র।
বিহারের বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডি(ইউ)-র সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিজেপি। সূত্রের খবর, শনিবার রাতে পটনায় দু’দলের বৈঠকে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে। আলোচনায় ঠিক হয়েছে বিহার বিধানসভার ২৪৩ আসনের মধ্যে জেডি(ইউ) পাবে ১২৪টি। বিজেপি লড়বে ১১৯টি আসনে। বিহারে এনডিএ জোটের নয়া শরিক, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝির ‘হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা’ (হাম)-কে নীতীশের দলের কোটা থেকেই কয়েকটি আসন দেওয়া হবে। শীঘ্রই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের দল ‘লোক জনশক্তি পার্টি’ (এলজেপি)-র সঙ্গে আসন বাঁটোয়ারা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বিজেপি নেতারা। অসুস্থ রামবিলাস দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ছেলে চিরাগ এবং ভাইপো প্রিন্স রাজের সঙ্গে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডাও কথা বলেন। বিজেপি সূত্রের খবর, এলজেপিকে ২৯টি আসন ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও প্রিন্স রাজি হননি। এই পরিস্থিতিতে নীতীশের সঙ্গে বোঝাপড়া চূড়ান্ত করেছে বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতে এলজেপি আলাদা ভাবে ১৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারে বলে প্রিন্সের ঘনিষ্ঠেরা জানিয়েছেন। প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পু যাদবের অধিকার পার্টি, সদ্য ‘মহাগঠবন্ধন’ ছেড়ে যাওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি (আরএলএসপি)-র সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে এলজেপির আলোচনা চলছে বলেও দলের একটি সূত্রের খবর। তবে আলাদা ভোটে লড়লেও এনডিএ জোট ছাড়বে না এলজেপি। ওই সূত্র জানাচ্ছে, নীতীশ কুমার এবং তার দলের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপিকে আক্রমণ করা হবে না।
আরও পড়ুন: বিহারে তেজস্বী মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী
আসন ভাগাভাগি ঘিরে মতবিরোধের জেরে ইতিমধ্যেই ভাঙন ধরেছে আরজেডি-কংগ্রেসের ‘মহাগঠবন্ধনে’ও। জিতনরাম এবং উপেন্দ্রর পরে এ বার জোট ছাড়তে চলেছে, বলিউডের ‘সেট ডিজাইনার’ মুকেশ সাহানির দল বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)। শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছেলে তথা জোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী তেজস্বী যাদব জানান, এ বার বিধানসভা ভোটে আরজেডি ১৪৪টি আসনে লড়বে। কংগ্রেস ৭০টিতে। তিন বাম দলের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৯টি আসন। এর মধ্যে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন ১৯, সিপিআই ছয় এবং সিপিএম চারটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠকে হাজির মুকেশ প্রকাশ্যে তেজস্বীকে চ্যালেঞ্জ জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব এবং ২৫টি আসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা না মেনে আরজেডি বিশ্বাসঘাতকতা করল।’’
আরও পড়ুন: হাথরস-কাণ্ডে ধর্ষণের অভিযোগ মুছতে পিআর সংস্থার দ্বারস্থ যোগী