বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। —ফাইল চিত্র।
বিহারের মহাজোট ভাঙতে বিজেপির মরিয়া চেষ্টার মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
বিহার বিধানসভায় বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই তেজস্বীর ইস্তফা দাবি করে চাপ বাড়িয়েছে বিজেপি। গত কয়েক দিন ধরেই বিহারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখর এবং তাঁর দফতরের শীর্ষস্থানীয় আমলার মধ্যে মতভেদকে নিয়ে আরজেডি ও জেডিইউ বিধায়কদের মধ্যে কথার লড়াই চলছিল। এই পরিস্থিতিতে ‘চাকরির বদলে জমি’ দুর্নীতির মামলায় তেজস্বীর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিটকে কেন্দ্র করে আরজেডি নেতার ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, তেজস্বী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা না দিলে তাঁকে বরখাস্ত করুন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
জোট ভাঙতে বিজেপির এই মরিয়া চেষ্টা দেখে বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনেই ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন নীতীশ ও তেজস্বী। তাঁরা দু’জন এবং বন ও পরিবেশমন্ত্রী তেজপ্রতাপ যাদব একটি গাড়িতে করে বিধানসভা ভবনে পৌঁছন। সেখানে গত কাল মহাজোটের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন নীতীশ ও তেজস্বী। এমনকি, সেই বৈঠকে তেজস্বীর সামনেই বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে আরজেডির বিধায়ক সুনীল সিংহকে নিশানা করেন নীতীশ। বিধান পরিষদের সদস্য সুনীল সিংহসম্প্রতি অমিত শাহের সঙ্গে নিজের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। নীতীশের ক্ষোভের কারণ সেটাই।
সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে আরজেডি বিধায়কের উদ্দেশে ক্ষুব্ধ নীতীশ মন্তব্য করেন, ‘‘আপনি যদি অন্য শিবিরে নাম লেখাতে চান, তা হলে যেতে পারেন। আমরা এক দিকে বিরোধী জোটের প্রস্তুতি নিচ্ছি, আর আপনি অমিত শাহের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করছেন? বিজেপির থেকে লোকসভার টিকিট পাবেন— এমন স্বপ্ন দেখবেন না। ওদের ফাঁদে পা দেবেন না।’’ সূত্রের দাবি, জোটের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে আরজেডি বিধায়ক চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন। বলেন, তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রয়োজন নেই। সেই সময়ে তেজস্বী পরিস্থিতি সামাল দেন। আরজেডি বিধায়ককে শান্ত করেন তিনি।