টিকাকরণে বেসরকারি যোগদান শীঘ্রই? প্রতীকী ছবি।
দেশে টিকাকরণ কর্মসূচির বৃহত্তর পর্যায়ে এ বার বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা শুরু করল কেন্দ্র। রবিবার এক সাক্ষাৎকারে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন নীতি আয়োগ সদস্য তথা কেন্দ্রের কোভিড রেসপন্স দলের প্রধান ডি কে পাল।
তাঁর মতে, দেশে টিকাকরণের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। ফলে সেই বিপুল কর্মসূচিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য বৃহত্তর পর্যায়ে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
পাল বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মী এবং সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণে বর্তমানে অনেক বেসরকারি সংস্থাকেই কাজে লাগানো হয়েছে। দিনে ১০ হাজার টিকাকরণ শিবিরের মধ্যে ২ হাজার শিবিরে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা। এই কর্মসূচিতে আরও দ্রুত নিয়ে যেতে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আরও নিবিড় এবং বৃহত্তর পর্যায়ে কাজে লাগানো হবে। তবে এর জন্য কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।”
এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৭০ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী এবং সামনের সারির যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আগামী দিনে যখন গণটিকাকরণ কর্মসূচির লক্ষ্যে এগোবে দেশ তখন এই বেসরকারি সংস্থাকে বৃহত্তর পর্যায়ে কাজে না লাগালে তা সামাল দেওয়া কঠিন হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন পাল।
দেশে এখন দু’টি টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। একটা কোভ্যাক্সিন এবং অন্যটা কোভিশিল্ড। কিন্তু ইতিমধ্যই রাশিয়ার টিকা ‘স্পুটনিক ভি’ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে। হায়দরাবাদের রেড্ডি’স ল্যাব এই টিকা তৈরি করছে। পাল বলেন, “স্পুটনিক ভি-র প্রয়োগের জন্য রেড্ডি’স ল্যাব আবেদন জানিয়েছে। টিকা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে এই টিকাও প্রয়োগ করা যায় সে দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।”